শাহেদ মিজান, সিবিএন:
চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে ইতিমধ্যে অভাবের হানা লেগেছে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পরিবারে। সরকারিভাবে সহায়তা কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো সবার কাছে পৌঁছেনি। তাই অনেক পরিবারের লোকজন না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে। এমনি একজন কক্সবাজার শহরের গাড়িরমাঠ ১নং গলির বাসিন্দা বাবুর্চি মোজাম্মেল। তার বাড়িতে খাবার নেই মঙ্গলবার রাত থেকে। শেষে জেলা প্রশাসনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। কল পেয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যেই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল। সেখানে গিয়ে মোজাম্মেলের হাতে তুলে দেয়া হয় খাদ্য সামগ্রী।
এসময় বাবুর্চি মোজাম্মেলের কষ্টের কথা শুনেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল। সেখানে অভাবের কথা জানান মোজাম্মেলের এক প্রতিবেশিও। তাকেও দেয়া হয় খাদ্যসামগ্রী।
বাবুর্চি মোজাম্মেল জানিয়েছেন, তিনি একটি খাবার হোটেলের কাজ করেন। লকডাউনের কারণে হোটেল বন্ধ থাকায় তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। একই সাথে আটকা পড়েছে তার বেতনের বকেয়া ১২ হাজার টাকাও। অভাবের মধ্যে এই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি হয়েছেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল জানিয়েছেন, অভাবী কারও ফোন পেলেই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। তেমনিভাবে ফোন পেয়ে বাবুর্চি মোজাম্মেলের বাসায় খাদ্য নিয়ে ছুটে যান তিনি।
প্রতিদিন ১২শ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।