মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রামের নাম জারুলিয়াছড়ি। দুর্গম এ গ্রামে নাই তেমন কোন রাস্তাঘাট,নাই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আছে শুধু একটি বাঁশের তৈরি জরাজীর্ণ মসজিদ। আর ওই এলাকার মানুষের আর্থিক সাহায্যে মসজিদ সংলগ্ন একটি হেফজখানা ও এতিমখানা করেছে। এছড়াও ১১ বিজিবির আওতাধীন সীমান্তবর্তী একটি বিওপি রয়েছে। বিজিবি ক্যাম্প ও ৫ শত পরিবারের বসবাস করা এ গ্রামটির একমাত্র চলাচলের রাস্তার জন্য চলে আসছিল দীর্ঘদিনের বিরোধ। সেই বিরোধ নিয়ে যখন গ্রামবাসী ও অন্য একটি পক্ষের মধ্যে চলছিলো টান টান উত্তেজনা। টিক সেই মুহূর্তে খবর পেয়ে রবিবার (৪ জুলাই) সকাল ১১ টায় ওই এলাকায় ছুটে যান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন।

এ দুই জনপ্রতিনিধি গ্রামবাসীর কষ্ট লাগবে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তার বিরোধ নিষ্পত্তি করতে জারুলিয়াছড়ি গ্রামের শতাধিক মানুষকে নিয়ে এক বৈঠকে বসেন। এর পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় এলাকার বিরোধপূর্ণ জমির স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তারা উভয়ের সাথে কথা বলে ঐক্যমত পোষণ করলে তৎখানিক চলাচলের রাস্তাটি মাটি দিয়ে তৈরি করে দেওয়ার জন্য বলেন এবং একই সাথে ছড়া খালেও একটি আপাতত কাঠের ব্রীজ করতে নিজ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ ঘোষণা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ। এ সময় তিনি কাল থেকে রাস্তার কাজ শুরু করার নির্দেশও দেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আলি হোসেনকে।

দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করে রাস্তা ও কাঠের ব্রীজ করার ঘোষণায় গ্রামবাসীর মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। এলাকাবাসী দুই চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শেষে তারা ঐ এলাকার একমাত্র মসজিদ ও হেফজখানা পরিদর্শন করে অর্থ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ জানান আমাদের পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উসেশিং এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে এই অবহেলিত গ্রামের দ্রুত রাস্তা, ব্রীজ, কার্লভাট,মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উন্নয়ন কাজ করা হবে।

এ সময় সাথে ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যানেওয়ান চাক,উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল কালাম,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাংবাদিক মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, মুহাম্মদ ইউনুছ,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলি হোসেন মেম্বার, সমাজসেবক ছুরুত আলম, ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল আলম মুমু,স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিসহ অনেকে।