মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় রাতের অন্ধকারে মোবাইলে অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ আবদুল গনি প্রকাশ রকি (২৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রির প্রাণ গেল। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাতে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনার বসুমতি দিঘির পশ্চিম পাশে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে আজ
শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত রকি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকার আহমদ শফির ছেলে। তিনি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা দোভাষীপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ মনজুর আলমের ফার্নিচার দোকানের কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা বসুমতি দিঘির পশ্চিমে নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের পাশে মোবাইলে গেম খেলাবস্থায় কাঠমিস্ত্রি রকিকে দুর্বৃত্তরা পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে রকির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ফার্নিচার দোকানের মালিক মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, রকি গত দুই মাস ধরে রকি আমার ফার্নিচারের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য তিনি বেতন বাবদ দেড় হাজার টাকা নিয়েছেন। গভীর রাতে রেললাইনের পাশে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ হারুন জানান, রকি প্রায় সময় মোবাইলে অনলাইনে গেম খেলেন। রাতে মোবাইলে চারশয় টাকা লোড করে প্রদিনের নেয়ায় গেম খেলতে বসুমতি দিঘির পশ্চিমে গেলে কে বা কারা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, রকিকে ছুরিকাঘাতে কারা এবং কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ফার্নিচার দোকানের ওই কাঠমিস্ত্রি মুঠোফোনে অনলাইনে গেম খেলতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও ঘটনাস্থলের পাশে স্থানীয় কয়েকজন কিশোরের সঙ্গে বসে গেম খেলছিলেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই কিশোরকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।