এ কে এম ইকবাল ফারুক ,চকরিয়া :

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) রাত ১০টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার প্রধান গেট চিংড়ি চত্বর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়েত সিকদারও আহত হয়েছেন।

এ হামলার ঘটনার জন্য সদ্য অব্যাহতি পাওয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও  যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদরকে দায়ী করেছেন হামলার শিকার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী।

এদিকে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে পুরো পৌরশহর জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মেয়রের উপর হামলার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করেন তারা। পরে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশে (৮ জুন) মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিককে। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িলে পড়লে লিটুর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে।

এর জের ধরে রাত ১০টার দিকে পৌর নির্বাচনের গণসংযোগ শেষে মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও আতিক উদ্দিন চৌধুরী নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করার সময় লিটু ও আদরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা ও ভাংচুর চালায়। পরে মেয়রের সমর্থকরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পৌরসভার নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে পৌরসভার গেট চিংড়ি চত্বরে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমি ও পৌরসভার মেয়রসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।