অনলাইন ডেস্ক
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমি বলেছেন, গত কয়েকমাসে দখলদার মার্কিন সেনাদের শতকরা ৬০ ভাগকে ইরাক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার তিনি এই তথ্য জানান।
কাজেমি বলেন, গতবছর ইরাক সরকার আমেরিকার সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করেছে এবং দ্বিতীয় দফা বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মুস্তাফা আল-কাজেমি জানান, তৃতীয় রাউন্ড বৈঠকের আগে আমরা শতকরা ৬০ ভাগ মার্কিন সেনা ফেরত পাঠাতে সমর্থ হয়েছি এবং শিগগিরই মার্কিন কর্তৃপক্ষ বাকি সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার একটি সময়সীমা ঠিক করবে।
ইরানের সঙ্গে ইরাকের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতা রয়েছে এবং এ সম্পর্কের ব্যাপক প্রশংসা করেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইরান ও ইরাকের মধ্যকার সহযোগিতার কারণেই ইরানবিরোধী বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে।
২০০৩ সালের প্রথম দিকে সাদ্দাম সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অজুহাত তুলে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা ও ব্রিটেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মার্কিন সেনা উপস্থিতি বজায় রয়েছে। যদিও ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বেশিরভাগ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল তবে ২০১৪ সালে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী দায়েশকে মোকাবেলা করার নামে ইরাকে আবার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। ইরাকের জনগণ এর বিরুদ্ধে দিনদিন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।