নুরুল কবির, বান্দরবান:
বান্দরবানে থানচি উপজেলার দূর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় তিনটি পাড়ায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (২১ মে) সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মার্মা।

মায়ানমার সীমান্তের জেলার থানচি উপজেলার দূর্গম বড়মদক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পাতোয়া ম্রো পাড়া, অংগ্যি খুমী পাড়া ও ঙারেসা মুরুং পাড়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩টি পাড়ার শিশুসহ প্রায় ৪৫ জন বাসিন্দা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায় – দূর্গম বড় মদক এলাকায় ঝিরি ঝর্ণা শুকিয়ে যাওয়ায় দূষিত পানি পান করায় গত মঙ্গলবার (১৮ মে) থেকে এলাকাবাসীদের পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া দেখা দেয়। দূর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে চিকিৎসার অভাবে প্রায় ৩টি পাড়ার সবকটি পরিবার এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মার্মা বলেন- ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অংগ্যি খুমী পাড়ার এক বৃদ্ধ মৃত্যুবরণ করেন এবং ৩টি পাড়ার প্রায় ৪৫জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন- স্থানীয় ঝিড়ি ঝর্নার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী বিভিন্ন উৎস থেকে দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়াও দূর্গম এলাকা হওয়ায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে রোগটি দ্রুত সময়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি বলেন- থানচির দূর্গম কয়েকটি এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার খবর পেয়েছে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে একবৃদ্ধার মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা সেখানে একটি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ১০ হাজার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট পাঠিয়েছি।

জেলার সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু বলেছেন- দূর্গম থানচির সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি পাড়ার লোকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। একটি মেডিকেল টিম সেখানে পৌঁছেছে। আরও ২টি টিম সেখানে যাচ্ছে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় পায়ে হেঁটে ও নৌপথে সেখানে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগছে। মেডিকেল টিম ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।