সিবিএন ডেস্ক:
যেসব দেশে থেকে সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি সেসব দেশ থেকে করোনার ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ যেতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। আগামী ২০ মে থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আপাতত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নূন্যতম সাতদিনের। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশের বিষয়ে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধায় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত দেশ হতে আগমন এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি সে সমস্ত দেশ হতে কেউ সৌদিতে আসলে তাকে সৌদিতে প্রবেশের পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই নির্দেশ আগামী ২০ মে হতে কার্যকর হবে।

অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে যে ইতিমধ্যে এই নির্দেশনা সকল এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সৌদি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ও নির্ধারিত হোটেলসমূহের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এয়ারলাইন্সগুলো টিকেটের মূল্যের সঙ্গে হোটেলে অবস্থানের চার্জও নিয়ে নিতে হবে। এছাড়া বিমানে উঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীর কোভিড নেগেটিভ সনদ ( যাত্রার নূন্যতম ৭২ ঘন্টা আগে) নিশ্চিত করে নিবে। সৌদিতে আসার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ হবে সাত দিন এবং অবস্থানের ৭ম দিন নমুনা সংগ্রহের পর রেজাল্ট নেগেটিভ হলেই কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পাওয়া যাবে।

তবে কয়েক ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবেনা বলে জানিয়েছে সৌদির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আছে- সৌদি নাগরিকগন, তাদের বিদেশী স্বামী/ স্ত্রী- পুত্র, কন্যা এবং গৃহকর্মীগণ। ভ্যাকসিন গ্রহীতা বাসিন্দার সঙ্গে থাকা ভ্যাকসিন নেয়নি এমন গৃহকর্মী। ডিপ্লোম্যাটগন, ডিপ্লোমেটিক ভিসাধারীগণ এবং তাদের পরিবারবর্গ, রাষ্ট্রীয় অতিথীগণ, বিমান ও জাহাজের ক্রুগন, আন্তর্জাতিক পন্য পরিবহনে নিযুক্ত ট্রাক চালকগণ ও তাদের সহকারীরা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত অনুমোদিত কোন ব্যক্তি।

পাশাপাশি সৌদির পাবলিক হেলথ অথরিটি জানিয়েছে সেদেশে প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যে কেউ ভ্যাকসিন গ্রহন করে থাকলে তাকেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনকৃত ব্যক্তিদের প্রথম এবং সপ্তম দিনে করোনা পরীক্ষা করা হবে।