সিবিএন ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গেরে বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে এবার আদাজল খেয়ে লেগেছিল ক্ষমতাসীন বিজেপি। মাসের পর মাস খেটেও মিলল না জয়ের রাস্তা।

রোববারের (২ মে) ফলে তৃণমূল শুধু জয়ীই নয়, একেবারে গো-হারা হেরেছে বিজেপি। ডাহা ফেল করেছে মোদি-শাহের নির্বাচনী রণকৌশল।

পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উঠেপড়ে লেগেছিল। বাংলায় মোট ২২টি জনসভা করার কথা ছিল কেবল নরেন্দ্র মোদিরই। ১২ বার রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল তার।

যদিও শেষ দিকে করোনার বাড়বাড়ন্তে মোদির বেশ কিছু সফর বাতিল হয়ে যায়। ২২টির পরিবর্তে ১৮টি জনসভা করতে সক্ষম হন তিনি। কেবল মোদিই নন, বাংলার প্রচারে সময় দিয়েছিলেন অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এমনকি যোগী আদিত্যনাথও।

বিজেপি বরাবরই বড়াই করে থাকে মোদি ম্যাজিকের। কিন্তু ২ মে’র ফলাফলে গায়েব সব ম্যাজিক। হাতে রয়েছে শুধু নন্দীগ্রাম আর হলদিয়া। ৭ ফেব্রুয়ারি এই হলদিয়াতেই প্রথম নির্বাচনী জনসভাটি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি প্রার্থী তাপসী মন্ডল জয় পেয়েছেন।

কাঁথিতে সভা ছিল ২৪ মার্চ। কাঁথি উত্তর বা দক্ষিণে জয় আসেনি। তবে নাটকীয়ভাবে নন্দীগ্রামে শেষ বেলায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এর আগে হুগলিতেও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন মোদি। ২২ ফেব্রুয়ারির সেই সভা বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি জনমনে। লকেট হেরেছেন প্রায় ১৮ হাজার ভোটে। হুগলিতে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।

১৮ মার্চ পুরুলিয়া আর ২১ মার্চ বাঁকুড়ায় সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই এলাকাতেই বিজেপির পরাজয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভায় এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে রীতিমতো পিছনে ফেলে দিয়েছিল গেরুয়া দল।

এ ছাড়া মার্চের ৭ তারিখ কলকাতায় ছিল বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ। সেখানেও হাজির ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে কলকাতাতেও একেবারেই আশানুরূপ হয়নি গেরুয়া শিবিরের ফলাফল।

১ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদির সভা ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে। সভা করেছিলেন হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও ডুমুরজলাতেও। তবে সব জায়গাতেই পরাজিত হয়েছেন গেরুয়া প্রার্থীরা। দক্ষিণে ফের হার হয়েছে বিজেপির। ভরাডুবি অব্যাহত বারাসাতেও। সূত্র : এনডিটিভি