দল ক্ষমতায় দীর্ঘবছর ধরে। ছাত্রলীগের বাহিরে আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাছে শুধুমাত্র নির্বাচন, দলীয় কার্যক্রম, মিছিল, মিটিং, পিকেটিং এর বাহিরে সারাবছর ছাত্রলীগের কর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়ার মতন কেউ থাকেনা।

একটা কর্মীর সমস্যায় তার পরিবারের সমস্যায় পাশে কেউ থাকে না।

শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকুরী কিংবা দলীয় মামলা-হামলা কোন সমস্যায় পাশে থাকেনা এটা একরকম নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত ছাত্রনেতারা বিচার দাবী করে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের হাতে।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের অনেক সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় থেকে তারা নিগৃহীত।

অথচ ছাত্রলীগের নতুন কোন কমিটির কথা আসলে সুশীল সমাজ, বিভিন্ন মহলের থেকে শুরু করে আমাদের দলীয় নীতিনির্ধারকেরা সবার আগে সরব থাকে।

যার দরুন কিছু ব্যক্তি এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঘৃণ্য মানসিকতার শিকার হচ্ছে তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মী।

আবার ছাত্রলীগের গঠন্তন্ত্রের বাহিরে গিয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপে বারবার সমালোচিত হচ্ছে সংগঠন যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বৃহত্তর সংগঠন তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মীদের স্বপ্ন থাকে এই সংগঠনের নেতা হওয়ার।

আবছার উদ্দিন শান্ত তার ব্যাতিক্রম নয়, এই দায়ভার এককভাবে জেলা ছাত্রলীগের উপর বর্তায় কি?

আজকে একজন ছাত্রনেতার আত্মহত্যা করতে চাওয়ার প্ররোচনার দায়ভার তাদের নিতে হবে যারা এই অবস্থার আগে তাকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করেছে।

নীতি ও আদর্শ নিয়ে চলার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পাশাপাশি ছাত্রলীগকে একটি মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা প্রতিটি নেতা-কর্মীর দায়িত্ব।

দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা সকল নেতা-কর্মীকে মনে রাখতে হবে।

জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।

গাজী নাজমুল হক
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখা।