তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে ৭ দিন লকডাউন লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। গত সোমবার থেকে কার্যকর দেশব্যাপী লকডাউন শুর। আজ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।

নগরীর প্রধান পাইকারী বাজার চাকতাই-খাতুনগঞ্জেও হঠাৎ বেড়ে যায় ক্রেতা চাপ। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা বিক্রেতারা জিনিসপত্র কিনতে আসায় রীতিমতো ঠাসা-ঠাসিতে পরিণত হয় চাকতাই-খাতুনগঞ্জে।

আর এই অজুহাতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে খুচরা বাজারে। লকডাউনের খবরে আগাম নিত্যপণ্য কিনতে মুদি দোকান, কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় বাড়ে। এর সুযোগ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করেছেন। সন্ধ্যা হতেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মুদি দোকানে মানুষের ঢল নামে। লকডাউনের দিনগুলোতে যেন ঘরের বাইরে আসতে না হয় সেজন্য আগাম নিত্যপণ্য কিনেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাসের বাজার, রোজার বাজার এবং লকডাউনের বাজার একসঙ্গে হওয়ায় ক্রেতার চাপ বাড়ে খুচরা বাজারে। এর সুযোগ নিয়েই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম থাকায় নগরীর বিভিন্ন স্পটে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ট্রাকে পণ্য কিনতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণত ২০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হলেও এদিন ২৩টি ট্রাকে নগরীর ২৩টি স্পটে টিসিবির নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, লকডাউন বা অন্য কোনো অজুহাতে পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। ডিসি স্যারের নির্দেশে আমরা বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অনিয়ম পেলেই জরিমানা করা হচ্ছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন বাজারে প্রশাসনের কোনো মনিটরিং নেই। যার কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপর দাম চড়া। ক্রেতারা বলেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই নিত্যপণ্যের ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

আনিসুর রহমান নামে একজন ক্রেতা বলেন, ঠিক এক বছর আগে এই সময়ে লকডাউন দেওয়া হয়। তখন মানুষকে জিম্মি করে পণ্যের বাড়তি দাম নেওয়া হয়। এবারও লকডাউনের ঘোষণা আসার পর নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হবে এটা প্রশাসনের মাথায় রাখা দরকার ছিলো। এখন মাসের বাজার করতে এসে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে।