বিদেশ ডেস্ক:

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে থাকা ভারতে শুক্রবার ৮১ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮১ হাজার ৪৬৬ রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে।

কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ৬ মাস পর সেখানে একদিনে ৮১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হলো। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বরের পর একদিনে আর এত রোগী মেলেনি।

শনাক্তকৃত রোগী বিবেচনায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট শনাক্ত এরই মধ্যে এক কোটি ২৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে আর কয়েকদিনের মধ্যে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ এ ২৪ ঘণ্টায় ৪৬৯ জনের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাস মহামারী এখন পর্যন্ত ভারতে এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৬ জনের প্রাণ কেড়েছে।

দেশটিতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টিকাদান কর্মসূচির গতিও বেড়েছে; তার মধ্যেই সংক্রমণের নতুন ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বিগ্ন অনেক রাজ্য লোকজনের চলাফেরা সীমিত করার পাশাপাশি নানান বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে।

গত বছরের শুরুর দিকে ভারত সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন দিয়েছিল; অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে কয়েক মাস পর তারা ধীরে ধীরে শর্তগুলো শিথিল করে নেয়। ২০২০ সালের শেষদিকে দেশটিতে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে। তবে এখন চলছে দ্বিতীয় ঢেউ।

আগের লকডাউনের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে দেখা দেওয়া সংক্রমণের নতুন ঢেউ ক্ষমতাসীন সরকারের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।