জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার :

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তর করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনার অধীনে ৩য় ধাপে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সম্প্রতি পটিয়াস্থ ১৫ আনসার ব্যাটালিয়নের মুজিবকাননে রোহিঙ্গাদের জন্য সেবা ও কল্যাণমূলক মিডপয়েন্ট চালু করা হয়েছে।

উক্ত মুজিব কাননের মিডপয়েন্টে রোহিঙ্গাদের ফ্যামিলি প্ল্যাণিং মোটিভেশন ,স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিখামার, পোল্ট্রি খামার প্রদর্শনের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেয়া হয়। উক্ত ব্রিফিং এ সেবা ও কল্যাণ সর্ম্পকে রোহিঙ্গা নারী শিশুদের অবগত করা হয়।

মুজিবকাননের উক্ত মিডপয়েন্টে মাদক, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত নিদের্শনামূলক পরার্মশ দেয়া হয়। এতে উৎসাহ নিয়ে রোহিঙ্গারা অংশগ্রহণ করে এবং আন্তরিকভাবে সমর্থন জানায়। পরে তারা সেখান থেকে ভাসান চরের উদ্দেশ্য যাত্রা করে।

এনিয়ে ১৫ আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আজিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের একমাত্র পটিয়াস্থ মুজিবকাননে মিডপয়েন্টে রোহিঙ্গাদের ফ্যামিলি প্ল্যাণিং মোটিভেশন ,স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিখামার, পোল্ট্রি খামার প্রদর্শনের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেয়া হয়। উক্ত ব্রিফিং এ ভাসান চরের যাত্রীদের সেবা ও কল্যাণ সর্ম্পকে রোহিঙ্গা নারী শিশুদের অবগত করা হয়। এতে রোহিঙ্গাদের হাসি খুশি পদচারনায় মনে হয় মুজিবকাননেই এক খন্ড ভাসানচর।

সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী প্রথম ও ২য় ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ভাসানচরে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮০১ জন পুরুষ, ৯৮৭ জন নারী এবং ১ হাজার ৬৫৮ জন শিশু। এর আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে পড়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের রোহিঙ্গাগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন।