সাইফুল ইসলাম


আমার এই লেখাটি কিন্ডার গার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের সন্মানিত শিক্ষক ও পরিচালনার কমিটির দৃষ্টিগোচর হবে কিনা জানিনা?

কোভিড ১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিগত ১৭ ই মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যার কারণে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় একটু ছন্দপতন হয়েছে। তবে সরকারের নেওয়া কিছু সৃজনশীল পদক্ষেপের ফলে নিরাশার রেখা কেটে আশার প্রদীপ দেখছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

করোনাকালীন সময়ে যেমনিভাবে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের জীবনযাপনের গতি স্বাভাবিক ছিলনা তেমনিভাবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আয়ের দরজাও তেমন খোলা ছিল না। বলতে গেলে দুই ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্হা ভালো ছিল না।

এক অভিভাবক কথা শুনে লেখাটির অবতারণা। তাঁর ছেলে নাকি একটি কেজি স্কুলে পড়ে। এক শিক্ষক নাকি ফোন করেন বলেন, আপনার ছেলের একটি মূল্যায়ন হবে তাই মূল্যায়ন ফিসের পাশাপাশি এই যাবৎ সকল বকেয়া মাসের ফিসও হতে দিতে হবে। অভিভাবকটির প্রশ্ন, করোনাকালীন বন্ধের সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও সব ফিস দেওয়ার জন্য কোন প্রজ্ঞাপন কী জারি হয়েছে? তাঁর মতে যদি জারি না হয় তবে তা হবে অমানবিক ও বেআইনী। পাঠক বিষয়টি ভেবে দেখুন একবার।

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে, করোনাকালীন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ কী সরকারের নেওয়া “এসো ঘরে বসে শিখি’ কার্যক্রমের আওতায় আপনার স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংসদ টিভি,বেতার,রেডিও ও মোবাইল যোগে পাঠ কার্যক্রম নিয়ে কতটুকু আন্তরিকতার সহিত কাজ করেছেন? তবে এই প্রশ্নটি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

কোভিড পিরিয়ডে আপনাদের যেমন কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে ঠিক আপনার শিক্ষার্থীর অভিভাবকদেরও কী অবস্থা যাচ্ছে তা একটু মানবিক দৃষ্টিতে বিচার বিশ্লেষণ করে বর্ধিত ফিসের বিষয়টা নিয়ে আরেকবার ভাবুন। কারণ আপনারা যদি মানবিক দিক বিবেচনা না করেন তাহলে আপনার ফিস চাওয়াটা ব্যবসার পর্যায়ে চলে যাবে। যেটার ফল কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য শুভকর নাও হতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও সংযত আচরণ করা বাঞ্ছনীয়। দুই দিক থেকে মানবিক আচরণ ও সহাবস্থান বজায় থাকলে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। যা উভয়ের জন্য মঙ্গলকর।


লেখকঃ সাইফুল ইসলাম,টেকনাফ।