তাওহীদুল ইসলাম নূরী, চট্টগ্রাম থেকেঃ

৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে ২৩ জুন ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে। করোনা উপসর্গ দেখা দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে চমেক কর্তৃপক্ষ। একইসাথে বৃদ্ধার পরিবার ২৬ জুন নগরীর শেভরন ক্লিনিকেও নমুনা দেন পরীক্ষার জন্য।

২৭ জুলাই শেভরন ক্লিনিক থেকে বৃদ্ধার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। অন্যদিকে, ০৫ জুলাই নমুনা সংগ্রহের ১০ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

একই কান্ড এর আগেও ঘটতে দেখা যায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে। ২৮ জুন একলোকের দুই ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় দুই রকমের রিপোর্ট আসে। লোকটির নগরীর ইম্পেরিয়াল ল্যাবে নেগেটিভ আসলেও বৃদ্ধাটির রিপোর্ট যেখান থেকে পজেটিভ এসেছিল সেই শেভরন ক্লিনিক থেকে একইভাবে পজেটিভ এসেছিল বলে জানা গেছে।

০৭ আগষ্ট চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৮৫ বছরের বৃদ্ধাটি। ০১ দিনের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষায় দুই ল্যাব থেকে দুই ধরনের রিপোর্ট আসায় দু-টানায় পড়েন রোগীর স্বজনরা। ফলে, করোনা আক্রান্ত হয়েছিল কি হয় নি এই উদ্বিগ্নতাটা এখনো স্বজনদের মধ্যে রয়ে গেছে।

অন্যদিকে, ২৮ জুন একই পরিস্থিতির শিকার রোগী এবং তার স্বজনরাও এ বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। তারা বলেন, দুই ল্যাবে একই পরীক্ষার অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ধরনের রিপোর্ট। কোনটা গ্রহণ করে কোনটা বাদ দিব ?

এদিকে, সব ল্যাবই দাবী করছেন তাদের দেয়া রিপোর্ট সঠিক। মানসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক নিরীক্ষার পরই রিপোর্ট প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন তারা।

ভিন্ন ভিন্ন ল্যাবে দুই ধরনের রিপোর্ট আসায় জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি। তারা বলছেন, এই রকম চলতে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আর, যাদের এক জায়গায় পরীক্ষার পরও রিপোর্ট পজেটিভ/নেগেটিভ আসতেছে মানুষ সেখানেও কীভাবে আস্থা রাখবে। তাই, সরকার এবং ল্যাব কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আন্তরিক হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে জনগণ।