মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট বীচে হোটেল সী প্রিন্সেস-এ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতকৃত ২শ’ বেডের করোনা আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার আগামী শুক্রবার ১৯জুন থেকে চালু হচ্ছে। একইদিন সকাল ১১ টায় সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। কক্সবাজার-১, ২ ও ৩ নম্বর আসনের সংসদ সদস্য যথাক্রমে জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মোঃ মহিউদ্দিন, সেন্টারটিতে বিভিন্নভাবে জড়িত এনজিও সমুহের প্রতিনিধিবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি সিবিএন-কে এতথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত যেসব রোগীর শরীরে কোন উপসর্গ নেই তাদেরকে পূর্ণ সুস্থ হওয়া পর্যন্ত হোটেল সী প্রিন্সেস-এর
২শ’ বেডের করোনা আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে রাখা হবে। কক্সবাজার সদরে অস্বাভাবিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় উপসর্গহীন রোগীদের হোম আইসোলেশন না রেখে আক্রান্ত রোগীর এলাকা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঝুঁকিমুক্ত করতে এই প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুত করা হয়েছে। অনেক করোনা ‘পজেটিভ’ রোগী হোম আইসোলেশনে থেকে যত্রতত্র ঘুরাফেরার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট আশংকা থাকে।

এডিএম মোহাঃ শাজাহান আলি আরো বলেন, হোটেল সী প্রিন্সেস নামক এই আবাসিক হোটেল’টিতে
আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার চলাকালীন যে বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল সহ আরো যেসব খাতে প্রকৃত কিছু ব্যয় হবে, সেসব ব্যয় আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার চালানোর জন্য সৃষ্ট ফান্ড থেকে পরিশোধ করা হবে। এছাড়া হোটেলটির যে সব স্টাফ আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে কর্মরত থাকবেন তাদের বেতন ভাতাও আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ফান্ড থেকে দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ শাজাহান আলি আরো বলেন, আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে থাকা রোগীদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। তবে যারা অস্বচ্ছল ও আর্থিক সংগতি নেই এরকম রোগীদের আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ফান্ড থেকে তাদের ফ্রী খাওয়া, চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হবে। এই আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে নিয়মিত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ও এম্বুলেন্স থাকবে। এই আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে যাদের শরীরে উপসর্গ দেখা দেবে তাদেরকে আইসোলেশন ডেডিকেটেড হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে বলে জানান এডিএম মোহাঃ শাজাহান আলি।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও এর সহায়তায় এই আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারটির কাজ ইতিমধ্যে প্রায় ৯৮% শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারটি দ্রততম সময়ের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী করে প্রস্তুত করে উদ্বোধন করা হচ্ছে।