রাজা সূর্য খাঁ


সাগর মহাসাগর আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু সরবরাহ করে: খাদ্য, অক্সিজেন, অনুপ্রেরণা এবং চাকরি। এটি জলবায়ুও নিয়ন্ত্রণ করে। এর এতটা গুরুত্ব সত্ত্বেও, আমরা বর্তমানে আমাদের সাগর মহাসাগরকে একটি বিশাল ডাস্টবিনের মতো আচরণ করছি। আমরা প্রতি মিনিটে একটি বড় ট্রাকের সমান আবর্জনা সমুদ্রে নিক্ষেপ করছি, এবং আমরা সমস্যাটি সম্পর্কে কিছু করার ক্ষেত্রে নিজেদের সামর্থ্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি। পৃথিবীর জীবনের জন্য যে সমুদ্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, আমরা সেটাকেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যেমন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকেনা ঠিক তেমনই এই সাগর মহাসাগরগুলো ধ্বংস করে ফেল্লে পুরো মানব জাতিই ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু, সুসংবাদটি হ’ল এটি এমন একটি সমস্যা যা সমাধান করা যায়।

নরওয়েতে যখন একটা মরা তিমির পেটে প্লাস্টিকের 30 টি ব্যাগ পাওয়া যায় তখন অনেকেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যারা কয়েক বছর ধরে সমুদ্রের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা জানে যে এটি কোনও নতুন সমস্যা নয়। বহু বছর ধরে এই সমুদ্র দূষিত হয়ে আসছে। প্লাস্টিকের সমস্যা এখন এত বিশাল যে এটি বিশ্বের প্রতিটি কোণে সমুদ্র সৈকতে লক্ষ্য করা যায়।

প্রতি বছর, সমুদ্রের মধ্যে আনুমানিক 8 মিলিয়ন টন প্লাস্টিকের সমাপ্তি ঘটে। এমন একটি পণ্য যা এতটাই প্রশংসিত হয়েছিল যে বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে পরিণত হয়েছে। এটি 8 মিলিয়ন টন আসলে কত তা কল্পনা করা কঠিন। এটিকে দৃষ্টিকোণে বলতে গেলে এটি 12 কোটি মানুষের ওজনের প্রায় সমান। যদি আজকের প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং পর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব অব্যাহত থাকে তবে এই সংখ্যাটি 2050 সালের মধ্যে প্রতি মিনিটে 60 টন হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা পৃথিবীর জন্য যথেষ্ট অশুভ।

★ প্লাস্টিক দূষণের প্রেক্ষিতে আমাদের বঙ্গোপ সগার;
বঙ্গোপ সাগর আমাদের বাংলার প্রাণ স্বরুপ। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে আমাদের বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত 54 টি আন্তঃসীমান্ত নদী দিয়ে বছরে 20 হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য বঙ্গোপসাগরে এসে পড়ছে। চীন, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভূটান থেকেও এসব প্লাস্টিক বর্জ্য এসে পড়ছে আমাদের বঙ্গোপসাগরে। সাগরে কিছু প্লাস্টিক ভাসমান আর কিছু প্লাস্টিক তলদেশে থাকে। এ উভয় প্রকার প্লাস্টিকই আমাদের সমুদ্রের প্রাণিকূলের জন্য ক্ষতিকর।

ড. হারুনুর রশীদ বলেন, সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের পর তা পানির তোড়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গে। ভাঙ্গা অংশগুলো পুনরায় সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে পুনরায় ভেঙ্গে ন্যানো, মাইক্রো ও ম্যাক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়। তিনি বলেন, এই ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ট প্লাস্টিকের কিছু উপাদান (ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য, যেমন- বিসফিনল-এ নির্গত হয়) মানুষের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । প্লাস্টিক-দূষিত মাছ খাওয়ার ফলে আমরা বিসফিনল-এ দূষণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি। মাছ ছাড়াও সমুদ্রের অমেরুদন্ডী প্রাণিও মাইক্রোপ্লাটিক ‘ফিল্টার করে’ গ্রহণ করে বলে জানান তিনি। এছাড়া সমুদ্রের ক্ষুদ্র প্রাণিকণা বা জু-প্লাঙ্কটন এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক ভক্ষণ করে। আবার এসব ক্ষুদ্র প্রাণিকণা বিভিন্ন মাছের খাদ্য বলে মাছ এদেরকে ভক্ষণ করে। আর আমরা সেই মাছ খেতে গিয়ে আমরাও মাইক্রোপ্লাস্টিক খাই।

তিনি আরও জানান, মাছের পেটে ছোট-বড় প্লাস্টিক পাওয়া থেকে বুঝা যায়, কিছু কিছু মাছ সরাসরি প্লাস্টিক ভক্ষণ করে থাকে। চলমান গবেষণার এই পর্যন্ত গবেষণালব্দ ফলাফল সম্পর্কে গবেষক দলের প্রধান ড. হারুনুর রশীদ বলেন, বাঁকখালী নদীর মোহনার পানির উপরিভাগে ভাসমান অবস্থায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে 20 হাজারেরও বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া মহেশখালী, টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে সংগৃহীত অপরিশোধিত লবণে কেজিতে প্রায় 1000টি এবং দেশের নাম করা বাণিজ্যিক কোম্পানীর পরিশোধিত লবণে প্রতি কেজিতে পাওয়া গেছে 700 থেকে 900 টি মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্লাস্টিক, বন্যজীবন এবং মানুষের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করে। পাখি, কচ্ছপ এবং অন্যান্য সমুদ্রের প্রাণী ক্যারিয়ার ব্যাগের ফাঁদে পড়ে, পরিত্যক্ত ফিশিং গিয়ারে আটকে থাকে এবং তাদের প্লাস্টিকের পূর্ণ পেটে মারা যায়। প্লাস্টিকটি খাদ্য শৃঙ্খলে এবং আমরা যে খাবারগুলি খাই সেগুলিতে প্রবেশ করে এবং পরে পুনরায় আমাদের পেটেও স্থান করে নেয়। ঝিনুক এবং তুষার কাঁকড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা করা সমস্ত প্রজাতির মাছে পাওয়া গেছে এই প্লাস্টিক। এটি সম্ভবত সবে শুরু। প্লাস্টিকের সমস্যাটি বিশাল, তবে এটি সমাধান করা যায় – এবং এটি জরুরি হয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

★ সমুদ্র দূষণরোধে আমরা আটটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নপতে পারি :-

১. আমাদের অবশ্যই আমাদের প্লাস্টিকের নির্ভরতা হ্রাস করতে হবে;

আমরা অবিশ্বাস্য পরিমাণে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের আইটেমগুলি ব্যবহার করি, যেমন স্ট্র, প্লাস্টিকের ব্যাগ, প্যাকেজিং, প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট এবং কাটারি। আমাদের অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশ এখন ডিসপোজেবল প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকের ব্যাগগুলিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, বা প্লাস্টিকের ব্যবহার ও বর্জ্য হ্রাস করার জন্য কংক্রিট লক্ষ্যমাত্রা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রচেষ্টাটি অবশ্যই মাপকাঠি করা উচিত, যাতে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের খরচ কমে যায়। আমরা এই পণ্যগুলি ব্যবহার করতে অস্বীকার করে আমরাও এই প্রচেষ্টায় অংশ নিতে পারি ।

২. প্রযোজকের দায়িত্ব বৃদ্ধি

বিগত ৫০ বছরে, বিশ্বের প্লাস্টিকের উত্পাদন দ্বিগুণ হয়েছে এবং শীর্ষস্থানীয় প্লাস্টিক প্রস্তুতকারকরা আগামী পাঁচ বছরে প্রায় তৃতীয়াংশ উত্পাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। 1974 সালে, মাথাপিছু গড় প্লাস্টিকের খরচ ছিল 2 কেজি। আজ এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে 43 কেজি! এটি বিশ্বকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।

পরিবর্তে, অ-অবননযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্পগুলি বিকাশ করতে হবে এবং বড় প্লাস্টিকের বর্জ্যগুলির জন্য দায়ী শিল্পগুলিকে অবশ্যই নির্দিষ্ট শিল্প চুক্তি এবং প্রযোজক দায়বদ্ধতার ব্যবস্থাগুলি দ্বারা বর্জ্য এবং ভাঙ্গা প্লাস্টিক সরঞ্জামগুলি পরিচালনা, সংগ্রহ এবং পুনঃব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সহ টার্গেট করতে হবে।

৩. দূষিত প্লাস্টিকগুলিতে ফি ও কর বৃদ্ধি করা;

বর্তমানে ব্যবহৃত বেশিরভাগ প্লাস্টিক তেল থেকে উৎপাদিত হয় এবং এটি জলবায়ু নির্গমন এবং দূষণ উভয়েরই উৎস। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের বাংলাদেশে কেবলমাত্র প্লাস্টিকের 0.5 শতাংশই নবায়নযোগ্য। তা সত্ত্বেও, জীবাশ্ম প্লাস্টিক পুনর্নবীকরণযোগ্যের তুলনায় এখনও তৈরি এবং কিনতে সস্তা। দূষণকারী প্লাস্টিকগুলিতে কর বা ফি বাস্তবায়নের জন্য সরকারদের তদন্ত করতে হবে। ফিগুলি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে যাতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জীবাশ্মের তুলনায় সস্তা হয়।

৪. আন্তর্জাতিক সহায়তা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা;

প্লাস্টিক বর্জ্য সর্বাধিক উন্নয়নশীল দেশ থেকে আসে। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্লাস্টিকের বর্জ্য পরিচালনা করার অক্ষমতা থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং তাই অতিরিক্ত পরিমাণে অনেকটাই সমুদ্রের শেষ প্রান্তে। সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিকের বর্জ্য উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে চীন এবং ইন্দোনেশিয়া রয়েছে। সমাধানের অংশ হিসাবে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য অবকাঠামোগত বিকাশের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহায়তা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

৫. সমুদ্রের প্লাস্টিকের জিরো ভিষণ কার্যকর করা;

ডিসেম্বর 2017 সালে, জাতিসংঘের পরিবেশ পরিষদ সাগরে প্লাস্টিকের স্রাব বন্ধ করতে একটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেটা এখনও যথাযথ কার্যকর করা হয়ে উঠেনি। অনুসরণ হিসাবে, কার্যকর লক্ষ্যমাত্রা এবং বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমার সাথে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রতিষ্ঠা করা উচিত, সামুদ্রিক বর্জ্যের উৎসগুলির ম্যাপিং নিশ্চিতকরণ, বিশ্বব্যাপী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নতুন প্রচার এবং শক্তিশালীকরণ রোধে বাজারের দায়িত্ব বৃদ্ধি করা।

৬. ম্যাপিং, নজরদারি ও গবেষণা বৃদ্ধি করা;

প্লাস্টিকের সমস্যা সম্পর্কে আমরা এখনও অনেক কিছু জানি না। গবেষকরা অনুমান করেছেন যে 70 শতাংশেরও বেশি প্লাস্টিক সমুদ্রের তলে শেষ হয়। সময়ের সাথে সাথে এটি ক্ষুদ্র কণায় বিভক্ত হয়ে যায় তবে আমরা জানি না যে এই উপাদানটির কী ঘটে বা কীভাবে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মানচিত্র এবং নিরীক্ষণের প্রচেষ্টা, পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাবগুলি নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।

৭. সাগরে প্লাস্টিকের বর্জ্য প্রবাহ বন্ধ করুন;

সমুদ্রের প্রায় 80 শতাংশ প্লাস্টিকের আমাদের দৈননন্দিন ক্রিয়াকলাপ এবং শিল্প থেকে আসে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গাড়ির টায়ার, প্রযুক্তিগত ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং ভেড়ার পোশাক থেকে শুরু করে সিগারেটের বাট এবং সুতির কুঁড়ি পর্যন্ত সমস্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। প্রত্যেকে সমাধানে অবদান রাখতে পারে এবং করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ক্লিন-আপ ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে পারেন, নিজের প্লাস্টিকের খরচ কাটতে পারেন, যথাসম্ভব প্লাস্টিক এভয়েড করা এবং আপনার আশেপাশের অবার্জনা যেন যথাযথ যায়গায় ফেলা হচ্ছে কি’না সেইদিকে দায়িত্বশীল হতে পারেন।

৮. ক্লিন-আপের জন্য তহবিল বৃদ্ধি করা;

প্লাস্টিকের সমস্যা সমাধানের জন্য, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্যাগুলি সবচেয়ে বেশি সে অঞ্চলে ব্যবস্থা নেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। আর্থিক সংস্থান না থাকায় বেশিরভাগ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এই অবস্থায় উচ্চতর সামুদ্রিক অঞ্চলগুলি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দেশব্যাপী একটি সমুদ্র তহবিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যটির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারি।

৯. সাগর দূষণ সম্বন্ধীয় গণসচেতনতা সৃষ্টি;

আমাদের দেশ, সমুদ্র দূষণের দিক দিয়ে অনেক খারাপ অবস্থায় আছে। অধিকাংশ মানুষই জানেনা এই সমুদ্র কীভাবে দূষিত হয় আর দূষিত হলে আমাদের জীবনযাপনে প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন পরিবেশ দিবস আর সাগর দিবসে এবং নিয়মিত কর্মসূচীর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সাগর দূষণ, প্রভাব ও এর প্রতিকার সম্পর্কে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

১০. প্রণোদনা ঘোষণা;

পচনশীল পলিমার ব্যাগ যা পাট হতে উৎপাদন করা সম্ভব। গতবছরের শুরুর দিকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাট থেকে উৎপাদিত পচনশীল পলিমার ব্যাগ বা সোনালি ব্যাগ শিগগির বাজারজাত শুরু করা হবে। সোনালি ব্যাগ খুব দ্রুত বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে ব্র্যান্ডিং করবে। সে জন্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব পাট থেকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণে যাবে। সরকারিভাবেই সেটি করা হবে। পরে বেসরকারিভাবে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন ও বাজারজাতের চিন্তা আছে। পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগ খুব সহজে পচে যায়। পলিথিনের মতোই এটি সহজলভ্য হবে। কিন্তু এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসেও সেই পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগের আগমনী বার্তা আমরা পাচ্ছিনা। তাই সরকারের উচিৎ এইসমস্ত পরিবেশবান্ধব পচনশীল পলিমার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেয়া। তাছাড়া, পরিবেশ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এর আওতায় আনা যায়।

প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিটি জিনিসই আমাদের জন্য মহা মূল্যবান। পরিবেশ বাঁচলে মানব জাতি বাঁচবে। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটা বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চাই। আসুন আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এগিয়ে আসি।