মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো না হলেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই রোববার ৩১মে থেকে আগামী ১৫ জুন সোমবার পর্যন্ত চলবে কক্সবাজার জেলা জজ ও দায়রা আদালত এবং কক্সবাজার সিজেএম আদালত সহ দেশের সকল অধস্তন আদালতের বিচার কার্যক্রমও।
শনিবার ৩০ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অধস্তন দেওয়ানি, ফৌজদারি ও ট্রাইব্যুনাল সমুহের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি বিষয়সমুহ আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আধ্যাদেশ, ২০২০ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২০ সালের ১০ মে ২১৪ নং বিজ্ঞপ্তিমূলে প্রচারিত বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা অনুসরণে শুনানি গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তান সম্ভবা নারী কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। শুধু হাজতী আসামীর জামিন আবেদন শুনানী ছাড়া কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কক্সবাজারের ৩টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনাল এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অন্য কোন আবেদন শুনানি করা হবেনা বলে জানান, কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম আব্বাস উদ্দিন ও কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার নেছারুল হক। তাঁরা আরো বলেন, সরকারের জারীকৃত সংশোধিত ১২ দফা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে রোববার ৩১মে বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ আদালতে আসার পর পুরোদমে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম কিভাবে, কখন শুরু হবে তা বলা যাবে।
এদিকে, নিজেরা নিজেদের উদ্যোগে সুরক্ষিত হওয়ার পর আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনায় অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ। তিনি আদালত অঙ্গন, আদালতের কক্ষ সমুহ ও আদালতের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শতভাগ স্বাস্থ্য বিধির আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।