মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে তাবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিক (৭০) এর শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হলেও তার শরীরে আপাতত কোন করোনা ভাইরাস রোগের উপসর্গ নেই। তাই করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হওয়া রোগীকে তার বাড়িতেই আপাতত কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএনও সাদিয়া আফরিন সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইউএনও আরো জানান, উক্ত করোনা রোগী তাবলীগ জামাতে লম্বা চিল্লা দিতে গিয়ে দীর্ঘদিন ঢাকা, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছেন। সেখানে তাবলীগে থাকাবস্থায় উক্ত করোনা রোগী করোনা স্বাস্থ্য নির্দেশনা মোটেও মানেননি। গত ৬ এপ্রিল তাবলীগ জামাতের চিল্লা শেষে উক্ত করোনা রোগী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধমে নিজ বাড়িতে আসেন। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে তার বাড়ী সহ আশেপাশের এলাকা লকডাউন (Lockdown) করে দিয়েছেন বলে জানান ইউএনও এবং উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক সাদিয়া আফরিন। তিনি আরো জানান, করোনা রোগীকে সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তার শরীরে করোনা ভাইরাস উপর্সগ দেখা দিলেই তাকে আইসোলেশনে নিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তত করা ৫ বেডের আইসোলেশন ইউনিট রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ মার্চ রাত থেকে পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লকডাউন (Lockdown) এ রয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.জেড.এম সেলিম সিবিএন-কে জানান, স্যাম্পল টেস্টে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া রোগীর শরীরে সামান্য করোনা ভাইরাস উপর্সগ দেখা দিলেই তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেসন ইউনিটে প্রেরণ করা হবে। এজন্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি পরিপূর্ণ এ্যাম্বুলেন্স স্টেন বাই রাখা হয়েছে। উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.জেড.এম সেলিম জানান, করোনা পজেটিভ পাওয়া রোগী আবু ছিদ্দিকের পিতার নাম মৃত মোখলেছুর রহমান। তার গ্রামের বাড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনার পাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে। তিনি নাইক্ষ্যংছড়িবাসীকে আতংকিত না হয়ে, করোনা স্বাস্থ্য নির্দেশনা ও সামাজিক, শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থানের অনুরোধ জানিয়েছেন।