রাজিদুর রহমান

খুব কঠিন সময় যাচ্ছে আমাদের যদিও আমরা আতংকিত নয়। বলা হল সচেতন হতে। আচ্ছা বিগত ৪৯ বছরে আমরা কী সচেতন হতে পেরেছি? তাহলে হুট করে সচেতন হবো কিভাবে বলতে পারেন??!! এই যে গতকাল লক্ষাধিক শ্রমিক ঢাকা গেল। অনেকে বলবেন অভাবের তাড়নায়, কেউ বলবেন চাকরি বাচানোর জন্য, আবার কেউ বলবেন পেটে ভাত না থাকলে এমনিতেই মরতে হবে তাই আহারের জন্যই গেছে। এই যে সারাদেশে সেনাবাহিনী- পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এত্ত নিবেদিত প্রান হয়ে কাজ করছে তারপরও কেন দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে?? ত্রান কেন উৎসবের আমেজে সবাই দিয়ে বেড়াচ্ছেন?? কেন বলেনতো?? কারণ আমাদের মদ্ধ্যে আতংক নেই।

আর আমরা যেহেতু আতংকিত নয় আবার সচেতনও নয় সেজন্য আমাদের সরকারের করোনা মোকাবেলার পদক্ষেপগুলো খুব বেশি ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে হয়না। আমার সরকার আমাকে আতংকিত করে যদি আমার জান-মাল রক্ষা করতে পারে তাহলে খারাপ কি??

আর মানুষের খাওয়া নিয়ে আমার সরকারের মাথাব্যাথা অনেক আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আচ্ছা আজকের যে ৭২ হাজার ৭ শত পঞ্চাশ কোটি টাকার হিসাব হলো সেটাকে কেউ একবার বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে দেখেছেন জনপ্রতি কত করে ভাগে পড়ে?? এখন বিষয় হলো এটার ম্যাক্সিমাম সুবিধাভোগী কারা হচ্ছে সেটা বুঝে আসে না।
আসুন আমরা সবাই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাদ্ধ্যমে পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করি। আর পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিতের মাদ্ধ্যমে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করি। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রতি সম্মান জানিয়ে মহামারী মোকাবেলা করি।

আর ভুল নয়।।। আসুন “ঘরে থাকি-নিজেকে নিরাপদ রাখি-পরিবারকে নিরাপদ রাখি-দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখি-সত্যিকারের দেশপ্রেমের পরিচয় দেই-আমাদের নিরাপদে রাখার জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সম্মান জানায়”।

লেখক: হেড অব ডিপার্টমেন্ট- আইন বিভাগ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

-ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া