জাহাঙ্গীর আলম শামসঃ
উৎপাদিত সবজি সঠিক সময়ে সরবরাহ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে কক্সবাজার জেলার কৃষকরা। অনেক জায়গায় খেতে পড়ে আছে শাক সবজি।
করোনার কারণে পাইকারী বাজারে ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলার ৮টি উপজেরার বিরাট অংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে জেলার কেউ আক্রান্ত না হলেও কৃষি ক্ষেত্রে ঠিকই প্রভাব পড়েছে। গত ১০দিন আগে যে সবজি ৬০-৮০কেজিতে বিক্রি হতো তা এখন ২০-৩০ কেজিতে নেমে এসেছে।
কচুর লতি, বেগুন, পটল, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, খিরা, করলাসহ অন্যান্য সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে জেলায়। কিন্তুু বাজারে পাইকার না থাকায় ন্যায্য মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের।
একদিকে শস্য উৎপাদনের খরচ অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে নেয়া ঋণের বোঝা নিয়ে এখন চরম হুমকির মুখে কৃষকেরা।
সদর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামেরা কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালো দাম পাবার আশায় অনেক যত্নে ১ একর জমিতে খিরার আবাদ করেছিলাম। যখনই ক্ষেত থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে তখন থেকেই করোনা প্রভাব পড়েছে।
একই গ্রামের কৃষক মোহাম্দ আলী বলেন, গত বছর যে খিরা ৫৫০- ৭০০মণ দরে টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা ৩৫০-৩০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচই ওঠবে না।
কৃষি পণ্যে বাজারজাত করণে বাধা না থাকলেও বাজারে পাইকার না আসায় উৎপাদিত সবজির ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না, জানালেন কৃষক মোক্তার হোসেন।
শহরতলীর লিংরোড বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, জেলার পাশ্ববর্তী জেলা থেকে অনেক পাইকারী ক্রেতা এ বাজারে কাঁচা মাল কিনতে আসত। কিন্তুু সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি এবং লকডাউনের কারণে পাইকার ও অসাধারণ ক্রেতারা বাজারে আসছে না।
এতে করে অসহায় দিনমজুর কৃষকদের দুরাবস্থা বিরাজ করছে।
উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে যাদের সংসার চলত তারা আজ নিজেদের খাদ্যের ঘাটতি পূরণের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছে।কক্সবাজার কৃষি অতিদপ্তরে উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাসেম বলেন, করোনা ভাইরাসে লকডাউনে প্রচুর পরিমাণ
উৎপাদন থাকলেও ক্রেতা সংকটে থাকায় তৈরি তরকারীর মৃল্য কমে গেছে।
পরিস্থিতি কেটে গেলে সব স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।