সাইফুল মোস্তফা

(মরহুম একেএম ইকবাল বদরী স্মরণে)

পরীক্ষিত কর্মবীর বলে সমবায়ী তুলে নিয়েছে কুলে
সৎ সাহস কিংকর্তব্য গুনে দাঁড়িয়েছিলে সম্মুখপানে।

সমবায়তন্ত্র যত্নভরে ফেরত এলো তোমারই হাত ধরে
সকল প্রতিকুলতার অগল ভেঙ্গে সচল হল সুনীতি,
নীতির বর্ণীল বাগান সাজাতে যেন বীরসম নজোয়ান
পশ্রয় পায়নি ভীতি দুর করতে জনপথের ভীমরতি।

বগতিয়ারের ঘোড়ার মত ছুটে চলেছ অবিরত
গেয়েছ সাম্যের গান হাতে নিয়ে সমবায় নিশান,
চিন্তা-চেতনা কর্মোদ্যমে আর পাবোনা শতজনমে
হারিয়েছে প্রেরণার খনি সমবায় কিষানী কিষান।

যেখানে তোমার পদচিহ্ন,অসুন্দর সেখানে বিপন্ন
মায়া ময় দৃষ্টিতে সুসবিত মুখরিত সৃষ্টি শোভন,
সতত চিন্তাশ্রমে শীর উচু করে আছে এশিয়ার ভূমে
সম্মান বর্তিকার পবন মনোলোভা সমবায়ী ভবণ।

আপন জীবন বাজি রেখে প্রতিকুলকে করে অনুকুল
হয়রানির মধ্যেও লড়েছো অস্ত্রহীন নিরব এক যুদ্ধে,
নয়তো নিজের কল্যাণে সকল সমবায়ীর সম্মানে
তাইত তোমাকে কুর্নিশ করে আবাল-বনিতা-বৃদ্ধে।

ক্ষনজন্মা মায়ের সন্তান বলে কেউ বেদনা দিলেও
সুখ পেতেন আপন বেসে সমবায় কে ভালবেসে,
দুর্নীতিবধ কাব্য জনমনে তুমি লিখেছো কেমনে
দূর থেকে নিঃশেষে ভাবে ওরা আজও বসে বসে।

নিজ জীবন শায়াহ্ন তটে কয় জনের ভাগ্যে জুঠে
মমতাময়ী মা কে স্নান দিয়ে জানাতে মহা সস্মান,
তুমি পেরছ তাই শিক্ত হলে হাজারো ভালবাসায়
ডাক দিয়েছে মহিয়ান হয়েছ বেহেস্তী মেহেমান।

তোমাকে হারিয়ে নির্বাক সমবায়ী আকাশে ঘুর্ণীপাক
তোমাকে নিয়ে হচ্ছে কাব্য লেখা তুমিহীন বড় একা
দিতে পারিনি সম্মান তবুও করনি কখনো অভিমান
কর্ম তোমার থাকবে লেখা কর্মেই পাব তোমার দেখা।

হাজরো হৃদয়ের মাঝে বদরী নামটি পেয়েছে স্থান,
বদরী আজ গৌরবময় আখ্যান সমবায়ী ধীমান।

হে সমবায় নক্ষত্র, হে সততার বীর লওহে সালাম ,
লও ভালবাসা ,লও হাজারো বিজয়মালা
তোমার স্বার্থহীন দেশপ্রেম আর কীর্তিকে
স্মরি শ্রদ্ধা লয়ে দিবানিশি সারাবেলা।