জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম :

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ঘোষণা দেয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী এমনটি জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও তিনটি শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি’র প্রার্থী কে হচ্ছেন- তার সুরাহা এখনও হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় তা নিয়ে আওয়ামী লীগের দূর্গে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটলেও বিএনপিতে এখনও তা চলছে। তবে সোমবার বিএনপি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম ছাড়তে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী কমিটির বৈঠকে আপাতত যে সমস্ত সংসদীয় আসন নানা কারণে শূন্য হয়েছে সেগুলোতে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন এগিয়ে থাকলেও নতুন করে নাম শোনা যাচ্ছে নগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও তিনবারের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খানের। এরপরেই রয়েছে সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহর নাম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করে নিয়াজ খানের নাম আলোচনায় আশায় খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও তার সমর্থক নেতা-কর্মীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়র নির্বাচনে আগ্রহ দেখিয়ে কাজ করে আসছিলেন। ফলে তার তৃণমূল পর্যায়ে অনেকটা মাঠ গোছানো রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডা. শাহাদাত হোসেনকে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ কাউকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সে অনুযায়ী একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির সহ-সভাপতি নিয়াজ খানকে দল মনোনয়ন দেবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপির একাংশ।