আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:
শীতবস্ত্র পেয়ে রোহিঙ্গা আবাল বৃদ্ধ,বনিতা এবং শিশুদের মনে-প্রানে ছিল আনন্দ আর উচ্ছাসের চিত্র।মেতে উঠেছিল যেন উৎসব আমেজে।বয়স্ক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নিজেরাই মিয়ানমার জান্তা সরকার কর্তৃক নির্মমতার স্নৃতি স্নরণ করে অনেকেই কেদেঁছেন।নানা কষ্ট চাপিয়ে হাড় কাঁপানো শীতের রাতে একটু সুখ খোঁজে রীতিমতো পেয়ে যান শীতের কম্বলও চাদর।রোহিঙ্গাদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি নামক একটি এনজিও সংস্থা।ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের অর্থায়নে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি (লামা)বান্দরবানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে।

রোহিঙ্গা হেড মাঝি জাবের জানান, এবারের হাড় কাঁপানো শীতে,শীতের কম্বল ও চাঁদর পেয়ে ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বেশী খুশি হয়েছি।
তাই যারা শীত বস্ত্র দিয়েছে তাদের প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।এতে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের নির্দেশনায় ২১নং ক্যাম্পে ২৭৬২টি রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

ককসবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় হোষ্ট কমিউনিটির জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলায় ১০০টি কম্বল, ১০০টি চাঁদর, উখিয়া উপজেলায় ৭৩২টি কম্বল ও ৭৩২টি চাঁদর এবং কক্সবাজার ত্রাণ ও পুর্ণবাসন অফিসে ৮৪৪টি কম্বল ও ৮৪৪টি চাঁদরসহ সর্বমোট ৭২০০টি কম্বল ৭২০০টি চাঁদর বিতরণ করা হয়।এসব শীতবস্ত্র বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন ২১নং ক্যাম্পের ইনচার্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাব্বির ইকবাল চৌধুরী,সাইট ম্যানেজমেন্ট ব্র‍্যাক প্রতিনিধি গোলাম সারওয়ার স্বপন, ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রতিনিধি জাফর আলম, এন.জেড.একতা মহিলা সমিতির প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম, মনিটরিং অফিসার আবদুল হামিদ সজীব, ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ।

প্রসঙ্গতঃ ইতিপূর্বে ১৯ নং ক্যাম্পে ১৪০ টি সেল্টার (আশ্রয়ন কেন্দ্র), টয়লেট, গোসলখানা, সোলারলাইট,গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি।পাশাপাশি হোষ্ট কমিউনিটির জন্য উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নেও একই কাজ ইসলামীক রিলিফ ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আর্থিক অর্থায়নে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতির সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়েছে।