আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
রাঙামাটি শহরের প্রধান বানিজ্যিক এলাকা বনরূপার ফরেষ্ট রোডে অবৈধভাবে গড়ে উঠা অন্তত ৩৫টি ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। শনিবার বেলা এগারোটার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ এর নেতৃত্বে পুলিশ, বনবিভাগ, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের কর্মচারিদের মাধ্যমে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা অন্তত ৩৫টি ঝুপড়ি দোকান সম্পূর্নভাবে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনার নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি অবৈধ দখলদার ও অবৈধ ব্যবসায়ি চক্র রাঙামাটির বনবিভাগের একমাত্র সড়কটি দখল করে দোকান-পাঠ নির্মাণ করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে করে যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে এবং জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাঙামাটিবাসীর প্রত্যাশানুসারে এই সড়কটিতে সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। রাঙামাটির সৌন্দর্য নষ্টকারি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, উচ্ছেদ হওয়া দোকানীরা জানিয়েছেন, আমাদেরকে সময় নাদিয়েই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, শহরের কলেজ গেইট এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের উপর এবং বনরূপা বাজারের সমতা ঘাট পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের দখলে ব্যবসা চললেও প্রশাসন সেদিকে নজর দেয়না। এটা কি ন্যায় বিচার করছে প্রশাসন। আইন সকলের জন্যই সমান হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছে উচ্ছেদ হওয়া দোকানীরা।

রাঙামাটি শহরের ব্যস্ততম এই এলাকাটিতে দীর্ঘ এক দশক ধরেই এই দোকানগুলো বসিয়ে ভাড়া আদায় করে আসছিলো সরকারদলীয় সংগঠনের একটি পক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায়ও বেশ কয়েকবার অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছিলো। অবশেষে এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফরেষ্ট রোডের সম্মুখের সড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলো রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে এই অভিযানের পরপরই এই স্থানটিতে সৌন্দয্যবর্ধণ গাছ লাগাবো এবং নিয়মিতভাবেই নজরদারিতে রাখবো, যাতে করে অতীতের মতো আর যেন এটি অবৈধ দখলদাররা দখল করতে নাপারে।