আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:
ফাল্গুন আসতে বাকী মাত্র কিছু দিন, শীতও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের কিছু আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। বেশ কিছু এলাকায় আম গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ সুবাস বইছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখন আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। সেই মুকুলের পরিমাণ কম হলেও ইতোমধ্যে মালিকরা পরিচর্যা শুরু করেছেন বেশী আমের ফলন ঘরে তুলতে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মহানগরীর ১১ নং দক্ষিণ কাট্রলী বশির শাহ মাজার এলাকায় কাট্রলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাসে, হালিশহরের আব্বাস পাডা,বড় পুল,সরাই পাডা, সাগরীকা, নয়া বাজার, সহ বিভিন্ন এলাকার আম গাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। আমের মুকুলে এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী মুকুল।

আমগাছের মালিক দরবার পরিবারে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান (আলতাফ) জানান, আগাম মুকুল দেখার পর থেকে মনটা ভালোই লাগছে। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

জেলে পাডার অভিজিৎ দে (জয়) বলেন, প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে বলে জানান।

নগরীর নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা এরশাদ মিঠু বলেন, আম গাছে আগাম মুকুল বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করছে।