ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ব্যক্তি ২০টিরও বেশি শিশুকে প্রায় দশ ঘণ্টা পণ বন্দী করে রাখার পরে পুলিশ তাদের সবাইকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ বলছে যে ব্যক্তি ওই শিশুদের পণবন্দী করেছিল তাকে তারা গুলি করে মারতে বাধ্য হয়েছে।
ওদিকে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে জনতা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
তবে তার স্ত্রীও ওই পণবন্দী ঘটনার সঙ্গে জড়িত কী না, তা জানা যায় নি।
পুলিশ বলছে ফারুখাবাদ জেলার বাসিন্দা সুভাষ বাথাম নামের ওই ব্যক্তি খুনের আসামী এবং জামিনে ছাড়া পেয়েছিল।
যে বাড়িতে জিম্মি করে রাখা হয়েছে তাকে ঘিরে পুলিশ
নিজের এক বছরের মেয়ের জন্মদিনের মিথ্যা গল্প ফেঁদে এলাকার ২৩টি শিশুকে সে নিজের বাড়িতে ডেকেছিল।
৬ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা তারা বাড়িতে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
স্থানীয় সাংবাদিক দীপক শ্রীবাস্তব বিবিসিকে জানিয়েছেন, “গোটা গ্রাম সারা রাত আতঙ্কে কাটিয়েছে। সকলেই ভয় পাচ্ছিলেন বাচ্চাগুলির নিরাপত্তা নিয়ে। পুলিশ বহুক্ষণ চেষ্টা করে ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আত্মসমর্পণ করতে। অবশেষে বিশেষ বাহিনীকে ডাকা হয়।”
“তার মনে বিশ্বাস জন্মেছিল যে খুনের মামলায় তার জড়িয়ে পড়ার জন্য গ্রামের মানুষই দায়ী। তাই তাদের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিল সে,” বলছিলেন মি. শ্রীবাস্তব।
পণবন্দী করার প্রায় সাত ঘণ্টা পরে ৬ মাস বয়সী শিশুটিকে বারান্দা দিয়ে এক প্রতিবেশীর হাতে তুলে দেয় সুভাষ।
“পুলিশ গিয়ে পৌঁছানার পরেই গুলি চালাতে শুরু করে সে। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে আক্রমণ করতে হবে,” জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মহা নির্দেশক ওম প্রকাশ সিং।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।