আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ প্রস্তাব করেন তিনি। ট্রাম্পের প্রস্তাবে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিনিময়ে চার বছরের জন্য ইসরায়েল দখলকৃত এলাকার সম্প্রসারণ বন্ধ রাখবে। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল একটি ধারণামূলক মানচিত্র প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে। শান্তি স্থাপনের জন্য নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে সম্মতও হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল অনেক করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে একটি যৌথ কমিটি গঠন করব ধারণামূলক মানচিত্রের আরও বিস্তারিত ও নির্দিষ্ট করতে। যাতে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়।

ট্রাম্প বলেন, ওই মানচিত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দ্বিগুণ হবে ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের রাজধানী থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র গর্বের সঙ্গে সেখানে দূতাবাস চালু করবে।

২০১৪ সালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলোচনা কোনো মীমাংসা ছাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। সেই আলোচনা নতুন করে আবার শুরু হবে কিনা, সে বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিন প্রস্তাবটি নিয়ে সংশয়ী থাকবে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। তবে ধীরে ধীরে তারা আলোচনার জন্য রাজি হবে।

একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ফিলিস্তিনের যে দীর্ঘদিনের লড়াই, সে পথে এই পরিকল্পনা বড়সড় বাধা হয়েই সামনে এসেছে। প্রস্তাবটি নিয়ে ইসরায়েল কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ইতোমধ্যে ফাঁস হওয়ার পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। গোপনীয়তার মধ্যে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের তত্ত্বাবধানে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের সমাধান।

পরিকল্পনাটি প্রকাশ উপলক্ষে সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজ। নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শতাব্দীর সেরা চুক্তি হলো শতাব্দীর সেরা সুযোগ। আমরা তা এড়িয়ে যাব না।