মোস্তফা কামাল, লামা থেকে ফিরেঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে একটি বন্য হাতির পাল ধান ও সবজি ক্ষেতে হানা দিয়ে এক কৃষকের বিপুল পরিমাণ ফসল খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে ব্যাপক বিনষ্ট করেছে।
এতে ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ঘিলাতলী-কালীর ঝিরি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনার খবর পেয়ে পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোছাইন মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইউনিয়নের রংখোলার ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল অাহমেদের পুত্র মোঃ কামাল পাশা জানান, মৌসুমের শুরুতে অন্য জনের কাছ থেকে চাষ করার জন্য ৪ কানি (১ একর ১৮০ শতক) জমি বর্গা নিয়ে ও স্থানীয় লোকজনের কাছথেকে ধারকর্জ করে ভালো ফসলের অাশায় ওই জমিতে ধান এবং শীতকালীন বিভিন্ন সবজির চাষ করেছেন। নানা প্রতিকুলতায় পরিচর্চার ফলে ক্ষেতও সবুজের সমাহার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিধিবাম ! ঘটনার দিন ২৪ জানুয়ারি রাত ২ টার দিকে ৮ -১০টি বুনো হাতির একটি পাল তার নতুন ধান ক্ষেত ও সবজি ক্ষেতে হানা দিয়ে তান্ডব চালায়। এসময় ক্ষেত রক্ষায় তার শো চিৎকারে অাশপাশের লোকজন এগিয়েগিয়ে এসে হাতি তাড়ালেও ততক্ষণে হাতির পাল ধান ও সবজি ক্ষেত খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে ফেলে। এসময় হাতির পালটি ক্ষেতে পানি সংগ্রহের ছরা-খালের উপর নির্মিত বাঁধটিও ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় এক লক্ষ্য টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে সে দাবী করেন। একারনে ফসল নিয়ে তার দেখা স্বপ্নও ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, গত রাতে অামার ইউনিয়নের ঘিলাতলী নামক এলাকায় মোঃ কামাল পাশা নামের এক কৃষকের ফসলে একটি বন্য হাতির পাল তান্ডব চালিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয়রা অামাকে জানিয়েছেন। তবে ওই কৃষকের যদি বেশি ক্ষতিসাধন হয়েথাকে, তবে তাকে সরকারি ভাবে অার্থিক সুবিধা পায়মতো সহযোগিতা করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।