শফিকুল ইসলাম নয়ন

আচ্ছা,
হীনমন্যতা, দারিদ্র ও পিছিয়ে পড়া এই সব কি কখনো মনোবল দূর্বল করতে পারে কি?
মনে হয় পারেনা।

তবে আপনার সমালোচনা আপনার অগোচরে অন্যকেউ করে বেড়ালে হয়তো মনোবল দূর্বল হওয়ার আশংকা থাকে।
তবে কি কখনো ভেবে দেখেছেন,
তাতে সমালোচকের ছেয়েও আপনার লাভ কতটুকু বেশি?
হয়তো বেশির ভাগই আমরা তা ভাবিনা। বরং শুনার পর মন ছোট করে বসে থাকি।

তবে যদি সমালোচকের বিপরীতে আপনার ভূলটা শুধরে নিয়ে বরং র্নিভূলেই সঠিক ভাবে কাজ করে যান তাহলে আপনার এগিয়ে যাওয়াটা বোধহয় কোনো সমালোচকেই থামাতে পারবেনা নিশ্চিত।

সমালোচনা তারাই করে যারা আপনার থেকে পিছিয়ে আছে বা যে আপনাকে হিংসায় মগ্ন থাকে।
সমাজে সমালোচকের অভাব নেই,
চায়ের প্রতি চুমুক এ কথা বাড়ানো আর সিগারেটের এক একটা টানে আপনাকে আকাশ থেকে নামিয়ে মাটির ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিতে পারে।

দেখা যায়,
যদি আপনি কারো সন্তান আর আপনার সমালোচকের ও সমান বয়সি সন্তান আছে।
এতে আপনার সন্তান ভালো কিছু করলে সেটা অপ্রকাশিত করা চেষ্টায় মগ্ন থাকবে তবে পরবর্তিতে ভূলটা খুজতে থাকবে।

মনেরাখা উচিত মানুষ মাত্রই ভূল।
আর সেই সুবাদে কোনো কিঞ্চিৎ মাত্রা ভূল করলে সেটা পাহাড় সমান করে বাড়িয়ে দিবে।
আর সমালোচকের সন্তান যে মস্ত বড় কোনো ভূল করে বেড়াচ্ছে তার খবরই রাখেনা। এতে সমালোচকের সন্তান একটার পর একটা ভূল করে করে একসময় পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।
তাতে ক্ষতি কার?

দেখায় যায় সমবয়সী একজন অন্যজনের সমালোচনা করে বেড়াই,
তবে সমালোচনাকারীর ভবিষ্যত চিন্তা ছেড়ে দিয়ে অন্যজনের ভবিষ্যত নিয়ে টানতে টানটে নিজের কেরিয়ারারে বারোটা বাজিয়ে দেয়।
তাতে ক্ষতি কার?

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একবার নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন তো? অন্যকে নিয়ে যে সমালোচনা করছেন, আসলেই কি তা ঠিক হচ্ছে!!!

বিবেক ঠিকই সঠিক উত্তর টাই দিবে। কারণ বিবেক সবসময় সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

আসুন নাহ্!
আগে নিজের সমালোচনা করে নিজের ভূল বের করি আর ভূল সংশোধন করে নির্ভূলে কার্য চালিয়ে যায়!
আর অন্যের সন্তানের সমালোচনা না করে নিজের সন্তানের খেয়াল রাখি।
তাতে করে নিজের সন্তান পথভ্রষ্ট হবেনা বরং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আলো দেখতে পাবে।
লাভ তো নিজেরই।

কথায় আছে,
আমিও মানুষ তো আমারও দোষ আছে,
সোনার যেমন খাদ আছে-
চাদের ও দাগ আছে।

সমালোচনায় কানপাতবেননা,
আসুন সমালোচনা না করে বরং মনোবল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।
উজ্জ্বল নক্ষত্র গুলোকে মেঘে না ডাকিয়ে আলোতে বিস্তার করি।
লাভ আপনার,
লাভ সমাজের,
লাভ এই সোনার বাংলার।

লেখক : শফিকুল ইসলাম নয়ন
স্টাডি : ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইন্জিনিয়ারিং টেকনোলজি, কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ।
ফেইসবুক : Abir Si Noyan