রামু সংবাদদাতা:
রামু উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী জনপদ ডাকভাঙ্গা ও মৈষকুম গ্রামে বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ শিক্ষা প্রকল্পের উদ্যোগে পরিচালিত মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল দশটায় ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার। এরআগে অতিথিবৃন্দ জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ফিতা কেটে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন-দৈনিক কক্সবাজার এর স্টাফ রিপোর্টার সোয়েব সাঈদ। অনুষ্ঠানে ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান, ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সলিম উল্লাহ, সহকারি শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর আলম, মার্জিয়া বেগম, আরেফা আকতার, জান্নাতুল বকেয়া, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম, সহকারি শিক্ষক জুর্মি বড়ুয়া, সালমা আকতার, রাবেয়া বেগম, শিউলী রানী দে, আবদুল হামিদ, সালমা আক্তার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের সুস্থ-সবল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত খেলাধুলার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। রামুর কাউয়ারখোপ এবং পাশর্^বর্তী কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে বেসরকারি সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে অন্ধকারাচ্ছন্ন, অবহেলিত ও দূর্গম এসব এলাকাকে আলোকিত করেছে। এ দুটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার বিষয়টি গুরুতে¦র সাথে পালন করা হয়। যা এলাকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত আরো উন্নত ও সমুজ্জ্বল করতে সহায়ক হবে।

‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার জানান, প্রতিযোগিতায় মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বিদ্যালয় মাঠে উৎসব আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। পুরনো ঐহিত্য কাগজের রঙিন ফুলে সাজানো হয় পুরো মাঠ।