আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
রাতের বেলায় চাহিত রুম বরাদ্দ না দেওয়ার অজুহাতে রাঙামাটি জেলা পরিষদেরর নিজস্ব রেষ্ট হাউস ভাংচুর করার অভিযোগে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমাসহ ৫জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোতোষ চাকমা বাদি হয়ে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা সময় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, প্রকাশ চাকমা(২৬), রিপন(২৫), জয় ত্রিপুরা(২৭), নাফিজ(২৩), ও অভিজিৎ চাকমা(২৪)। এই পাঁচজন অনুপ্রবেশকারি গত ৮/০১/২০২০ইং তারিখ রাত সাড়ে এগারোটার সময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের নিজস্ব বিশ্রামাগারে চৌকিদার সাদ্দাম হোসেনের নিকট কক্ষ বরাদ্দ চায়। এসময় কোনো কক্ষ খালি নেই জানালে অভিযুক্তরা রাগান্বিত হয়ে সাদ্দামকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এক পর্যায়ে সাদ্দামের শার্টের কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
এসময় সাদ্দামের চিৎকার শুনে বিশ্রামাগারে অবস্থানরত সুজয় চাকমা এসে সাদ্দামকে মারপিটের হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে অনুপ্রবেশকারিরা সুজয় চাকমাকেও শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এসময় তারা বিশ্রামাগারে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বারান্দায় রাখা সোফা সেট ভাংচুর করে, বেশ কয়েকটি ফুলের টপ ভেঙ্গে ফেলে এবং কয়েকটি ডাষ্টবিন ভাংচুর করে। এই ঘটনার আংশিক চিত্র বিশ্রামাগারের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দাখিলকৃত এজাহারের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানায় ১৮৬০ সনের পেনাল কোড আইন ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৪২৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নাম্বার-০৭, তারিখ: ১১/০১/২০২০ইং। মামলায় উল্লেখিত বিষয়টি তদন্তাধীন আছে এবং সেই আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে কোতয়ালী থানা পুলিশ কাজ করছে বলে থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।