সিবিএন ডেস্ক:
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনী বলেছেন, গতরাতে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে আমরা আমেরিকার মুখে চপেটাঘাত করেছি।

মঙ্গলবার রাতে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। ওই হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইরান।

এই ঘটনার পর বুধবার ১৯৭৮ সালের কোম বিক্ষোভের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে খামেনী একথা বলেন। এ সময় সমবেত জনতা ‘আমেরিকার ধ্বংস চাই’ বলে শ্লোগান দেয়। কোম বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংগঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘গতরাতে একটি চপেটাঘাত করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গোটা অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। তারা এই অঞ্চলে যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

ইরাক সরকার মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের বিষয়ে সংসদে যে বিল পাস করেছে সেটারও প্রশংসা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, ইরানের সংসদও মার্কিন বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভালো কাজ করেছে।

আয়াতুল্লা খামেনী বলেন, ‘আমেরিকা চায় ইরাকের সরকার ইরানের সাবেক পদলেহি সরকার অথবা বর্তমান সৌদি সরকারের মতো হবে এবং তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে যাতে তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। তারা দুধেল গাভী চায়। কিন্তু ইরাকের ঈমানদার তরুণ সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্ব এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। জেনারেল সোলাইমানি এই বিশাল ফ্রন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং তিনি ছিলেন তাদের সম্মানিত সমর্থক।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘লেবাননের বিষয়েও একই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় আমেরিকা। তারা লেবাননিদের স্বাধীনতার প্রধান উপাদান ধ্বংস করতে চায়। তারা প্রতিরোধ শক্তিকে ধ্বংস করতে চায়।’