আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের সঙ্গে চলা উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ৩ হাজার সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার এক দিন পর এই সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।

জেনারেল নিহতের প্রতিশোধ নিতে ইরানের হামলার আশঙ্কায় ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের এই সৈন্য মোতায়েন করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব সৈন্য কুয়েতে মোতায়েন হতে পারে।

সম্প্রতি ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়াদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে বিমান হামলা করেছিল, তারই জের ধরে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে। গত রোববার ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালায়, তাতে অন্তত ২৫ জন যোদ্ধা নিহত হন।

ইরাকের প্রতিবেশী দেশ ইরান। আর এই দুই দেশের খুব কাছেই কুয়েতের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের ৭৫০ সৈন্য গত মঙ্গলবার রাতে কুয়েতে পৌঁছে। আর বাগদাতে দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ জন মেরিন সৈন্য মোতায়েন করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে গাড়িতে করে বাগদাদ বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন জেনারেল সোলাইমানি। এ হামলায় আরও সাতজন নিহত হন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, জেনারেল সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। জেনারেল সোলেইমানি এবং তার কুদস বাহিনী শত শত মার্কিনি এবং জোটের সদস্যের হতাহতের পেছনে দায়ী।