আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে মঙ্গলবার এক জঙ্গি হামলায় ৩৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩১ জনই নারী। গত পাঁচ বছর ধরে যে সহিংসতা চলছে তার মধ্যে গতকালের হামলাটিকে সবচেয়ে প্রানঘাতী হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

এদিকে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের একটি সামরিক ঘাঁটি ও সইম প্রদেশের আরবিন্দা শহরে জঙ্গিরা দুটি হামলা চালালে সাত সেনা নিহত হয়েছেন। পরে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা চালালে ৮০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আফ্রিকার অপর দুই দেশ মালি ও নাইজারের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়ো বুরকিনা ফাসোতে নিয়মিত হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়মিত এই হামলায় দেশটির শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই বছর দেশটির সাহেল অঞ্চলের গোটাটা জুরে সহিংসতা ও সশস্ত্র হামলার শুরু হয়।

দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আরবিন্দার সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্য করে একটা বড় সশস্ত্র দল নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।’ মালি সীমান্তের কাছে আরবিন্দা শহরের ওই হামলা ও সেনাপ্রতিরোধ বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল বলে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রক মার্ক কাবোরে হামলা নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের বীরোচিত পদক্ষেপের কারণে ৮০ সন্ত্রাসীকে ব্যর্থ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই বর্বর হামলার কারণে ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিককে প্রাণ দিতে হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।’
Burkina-Fasoজিহাদিদের হামলা-সহিংসতার কারণে বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির মানুষ

দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র রেমিস দান্ডিজিনোউ পরে বলেছেন, মঙ্গলবারের ওই হামলায় যে ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩১ জনই নারী। দেশটির প্রেসিডেন্ট বর্বর এই হামলার পর দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গতকালের শতাধিক প্রণঘাতী ওই হামলার দায় কোনো সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী এখনো স্বীকার করেনি। তবে বুরকিনা ফাসোর ধর্মীয় সহিংসতা ও হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র বিদ্রোহী ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করা হয়।