মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :

হাটহাজারী পৌর সদরের কাচারী সড়কের কার্পেটিং কাজ করছে পৌর কতৃপক্ষ। প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে রবিবার। দ্রুততার সহিত কাজ শেষ করতে সাবৃক্ষণিক মনিটরিং করেন পৌর প্রশাসক রুহুল আমিন। গত বৃহস্পতিবার পৌর প্রশাসক রাস্তার কার্পেটিং কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন কাচারী সড়কের উন্নয়নের জন্য ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সড়কটি ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থ।

পৌর প্রশাসক রুহুল আমীন বলেন, হাটহাজারী পৌরসদরের বিভিন্ন সড়কের উন্নয়নের পাশাপাশি দুটি প্রধান সড়ক রাংগামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়কের সাথে সংযোগ এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ যার কারনে সড়কটি আরো একটু বড় করে কাপেটিং হচ্ছে। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করে থাকে। সড়কটি আরসিসি ঢালায়ের মধ্য দিয়ে সংস্কার করা হয় আজ থেকে দীর্ঘ আট বছর পূর্বে। বর্তমানে সড়কটি উপরের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়কটি সংস্কার করা না গেলে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সকড়টি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়বে। সড়কটির কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আগামী ২০ হতে ২৫ বছরেও আর কিছু করতে হবে না বলে তিনি জানান। তাই সবার সহযোগীতা কামনা করেন এবং অতি দ্রুততম সময়ে মধ্যে সড়কটির কাজ শেষ হবে বলে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদেরকে অবহিত করেন।

এদিকে কাচারী সড়ক বণিক সমিতি’র সভাপতি মেঃ রাশেদ বলেন, দীর্ঘ আট বছর আগে এ ব্যস্ততম সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও লোহার রট দেখা যাওয়ায় আস্তে আস্তে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। গত ১৮ডিসেম্বর থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটির কাজ শুরু করায় পৌর কর্তৃপক্ষকে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানায়। সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাস্টমারের চাহিদা বেড়ে যাবে এবং ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবে। তিনি আরও বলেন, বণিক সমিতি’র পক্ষ থেকে এ সড়কের দু’পাশে ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যবসা করতে না পারে তার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইদিন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে এবং সড়কের দুইপাশে এসএস এ্যাংগেল দিয়ে পথচারীদের চলাচলের রাস্তা করে দেওয়ার জন্য পৌর প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানান। যাতে হাটহাজারী পৌরসদরে মধ্যে কাচারী সড়কটি একটি মডেল সড়ক হিসেবে গড়ে ওঠে।