তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা সাড়ে ১৯ কোটি টাকা মূল্যমানের ২০৩ কনটেইনার পণ্য দীর্ঘদিনেও খালাস না করায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে আপেল-কমলার মতো কাঁচা ফলমূলের পাশাপাশি এনার্জি ড্রিংক, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও প্রসাধনী পণ্য।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মাজেদুল হক বলেন, ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই ফলমূল। কাঁচা ফলমূল আমদানিকারকদের বেশিরভাগই মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। অনেক সময় বাজারে ফলের দাম পড়ে যায়। তখন শুল্ক-কর ও মাশুল পরিশোধ করে খালাস নিতে গেলে আরও লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তাই মৌসুমি আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করেন না।

বন্দর সূত্র জানায়, আমদানিকারকরা বন্দর থেকে খালাস না নেওয়ায় ২০৩ কনটেইনার পণ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। এসব কনটেইনারে মোট ৪৪ লাখ কেজি পণ্য রয়েছে। যার আমদানি মূল্য প্রায় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

মাটিচাপা দেওয়া এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, মাল্টা, পেঁয়াজ, মুরগির খাবার, এনার্জি ড্রিংক, সূর্যমুখী তেল, ফলের জুস, প্রসাধনী ও স্যানিটারি ন্যাপকিন। এর মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যই পচে-গলে নষ্ট হয়ে গেছে।

জানা গেছে, কাঁচা ফলমূল আমদানিকারকদের অধিকাংশই মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। অনেক সময় বাজারে ফলের দাম পড়ে যায়। তখন শুল্ক-কর ও মাশুল পরিশোধ করে খালাস নিতে গেলে আরও লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তাই মৌসুমি আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করেন না।

পাঁচ কনটেইনার নষ্ট ফলমূল গত শুক্রবার সকালে নগরীর টোল রোডের পাশে আবদুর রহমান ডিপো এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। এর আগে আরও ৯ কনটেইনার নষ্ট ফলমূল পুঁতে ফেলা হয়। আগামী ১২ দিন ধরে চলবে এ মাটিচাপা দেয়ার কাজ।