তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম বন্দরে জেটিতে জাহাজ ভেড়াতে নতুন ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিন যুগ আগের পদ্ধতি বদলে এ নতুন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। নতুন পদ্ধতিতে জাহাজ জেটিতে ভেড়ার অনুমতি বা বার্থিং নিতে শিপিং এজেন্টকে আর চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে দৈনিক বার্থিং মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হবে না। অনলাইনে এজেন্টদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জাহাজ বার্থিং পেয়ে যাবে; আর তা মুহূর্তেই সেই তথ্য এজেন্টের কাছে পৌঁছে যাবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবহারকারীদের ধারণা, নতুন পদ্ধতি পুরোপুরি চালু হলে প্রচুর সময় সাশ্রয় হবে, ভোগান্তি কমবে ও প্রক্রিয়া সহজ হবে। এতে জেটিতে আসা জাহাজ ছাড়াও বন্দর জলসীমায় থাকা সব জাহাজের তথ্য হালনাগাদ থাকবে এবং বিগত সময়ে আসা জাহাজের সব তথ্য রেকর্ড থাকবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর শফিউল বারি বলেন, নতুন এই পদ্ধতিতে আমরা এখন ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক কাজ করছি; ভুল-ত্রæটি সংশোধন করছি। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে এই ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে পারব।

তিনি বলেন, নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের তথ্য দেবেন শিপিং লাইন বা এজেন্টরা। দেওয়ার পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্থিংয়ের অনুমতি পেয়ে যাবেন তাঁরা। তাঁদের বন্দর ভবনে এসে আধা থেকে এক ঘণ্টা বৈঠকে বসে জাহাজ ভেড়ার অনুমতি নিতে হবে না। উন্নত দেশের সমুদ্রবন্দরে আগে এই পদ্ধতি চালু থাকলেও আমরা এখন চালু করতে যাচ্ছি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন পদ্ধতিতে একজন এজেন্টকে প্রতিদিনের বার্থিং মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হবে না; জাহাজ আসার তথ্য ম্যানুয়ালি জমা দিতে হবে না। এজেন্টরা বন্দর জলসীমায় থাকা সব জাহাজে থাকা পণ্যের পরিমাণ জানতে পারবেন এবং এসব পণ্য নামানোর তথ্যও অনলাইনে পেয়ে যাবেন। বহির্নোঙরে থাকা একটি জাহাজ থেকে কী পরিমাণ পণ্য নামানো হয়েছে; তা জানার জন্য পরের দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ফলে জাহাজ কখন ছেড়ে যাবে বা কখন জেটিতে ভিড়বে তা সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণ হবে না।