আবুল হাসেম 

দিল্লীর নিজাম উদ্দিন মারকাযের দিক-নির্দেশনায়,মূল ধারার কক্সবাজার জেলা ইজতেমা, ২৭ নভেম্বর ১৯ ইং, রোজ: বুধ বার, বাদে মাগরিব মাওলানা আলিফ হুজুর (ঢাকা) এর আম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। ইজতেমার ১ম দিন হতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালুময় ঝাউবন সংলগ্ন, কবিতা চত্বর মাঠের আশপাশ ধর্ম প্রাণ মুসল্লি দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ হয়। এবারের জেলা ইজতেমায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা, শহর,ইউনিয়ন, গ্রাম সহ দূর দূরান্ত হতে অনেক ধর্ম প্রাণ মুসল্লির সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। ২৮ নভেম্বর ১৯ ইং, রোজ বৃহস্পতিবার ইজতেমার মাঠ জন সমুদ্রে পরিণত হয়। ২৯ নভেম্বর ১৯ ইং,রোজ শুক্র বার, বাদে ফজর আলোচনা পেশ করেন, মাওলানা মুফতি এজহারুল ইসলাম চৌধুরী (প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, চট্রগ্রাম লাল খাঁন বাজার মাদ্রাসা)! জুমআর আগে আলোচনা পেশ করেন, মাওলানা মুফতি আতাউর রহমান ( প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা, বসুন্ধরা, ঢাকা)!
জুমআর খুৎবা প্রদান ও জুমআর নামাজের ইমামতি করেন, বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের ঢাকা কাকরাইল মারকায মসজিদের খতিব মাওলানা মুজাম্মেল সাহেবের বড় ছেলে হাফেজ মাওলানা আনাস বিন মুজাম্মেল হক ( বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের প্রধান আহলে শুরা সদস্য)
২৯ নভেম্বর ১৯ ইং , রোজ – জুমাবার, জুমার নামাজে খতীব সাহেবের পেছনে, প্রধান স্টেইজে জুমআর নামাজে অংশগ্রহণ করেন, কক্সবাজার জেলার প্রায় সব প্রশাসনিক বিভাগের কর্ম কর্তাগণ,যথাক্রমে: কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, মো: কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন সহ প্রশাসনিক প্রায় সব লেভেলের প্রধান অফিসারগণ। প্রশাসনের পক্ষ হতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে ইজতেমার মাঠসহ আশেপাশের প্রায় জায়গায় সার্বক্ষণিক শৃংখলার দায়িত্বে মাঠে রয়েছে প্রায় হাজার খানেক পুলিশ, সিআইডি,গোয়েন্ধা সংস্থার সদস্য।
বিশ্ব ইজতেমা মানের যেসব বৈশিষ্ট্য এবারের জেলা ইজতেমায় দেখা গেছে ::
প্রশাসনিক সব দপ্তর হতে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান অফিসারদের সার্বক্ষণিক টহল জোরদার।
পুলিশ সহ সব আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রায় ১০০০ মত সদস্যদের সার্বক্ষণিক তদারকি।
জেলা প্রশাসন হতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান।
বোবাদের জন্য আলাদা ওয়াজ নছিহতের জন্য গাইড মেন ও আলাদা প্যান্ডেল।
বিদেশি মেহমানদের জন্য আলাদা নিরাপদ প্যান্ডেল।
দূর দূরান্তের মেহমানদের জন্য ফ্রি খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা।
নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
নিরাপদ সার্বক্ষণিক খাবার পানির ব্যবস্থা।
গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা।
সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পাহারাদার।
সিভিল পোষাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ।
প্রতিবেশী দেশ ভারত হতে আগত দুই জামাত বিদেশি মুসল্লি।
ভারত হতে আগত জামাতের এক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন,আমীর মুহতারাম আজির রহমান।
ঝড় বৃষ্টি সহনীয় পর্যাপ্ত প্যান্ডেল।
প্রায় উচ্চ শিক্ষিত তাবলীগের জিম্মাদার গণ।
উচ্চ শিক্ষিত গাইড মেন।
শ্রবণ শক্তি হীন মুসল্লিদের জন্য আলাদা বুঝানোর ব্যবস্থা সহ আলাদা প্যান্ডেল।
কর্তব্যরথ পুলিশ দপ্তর :
ক) কক্সবাজার মডেল থানা সহ প্রায় সব উপজেলা হতে আগত পুলিশ সদস্য।
খ) কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
গ) বান্দরবান জেলা পুলিশ।
মোট কথা প্রায় সব ধরনের বিশ্ব ইজতেমা মানের নিরাপদ ব্যবস্থা সহ এক কল্যাণমূলক ম্যানেজিং ব্যবস্থা।
এতে সার্বক্ষণিক খাদেমের দায়িত্বে রয়েছে যথাক্রমে: এস.এম. সোহেল রানা( ময়না) আগাঁরগাও,ঢাকা ; আবদু রহিম চৌধুরী মালিক এ.এর.সি টাওয়ার, কক্সবাজার ; বড় মহেশ খালীর, সুপ্রিয় পাড়ার মুরব্বী, মাওলানা নুরুল ইসলাম।
৩০ নভেম্বর ১৯ ইং , রোজ – শনিবার, আলোচনা পেশ করেছেন, যথাক্রমে: বাদে ফজর, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম; এর পরপরই হেদায়েতী আলোচনা পেশ করেন : মাওলানা মুফতি আশরাফ আলী সাহেব,
আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন,
মাওলানা মুফতি আতাউর রহমান।
মোনাজাতে দেশ জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে দোয়া করে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের কক্সবাজার জেলা ইজতেমা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

 

আবুল হাসেম, খুরুশকুল,কক্সবাজার।
চ্যানেল সিক্স, প্রতিনিধি সদর উপজেলা, কক্সবাজার।