মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:
অফিসিয়াল কাজে রেকর্ড গড়লেন হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক রুহুল আমিন। গত এক বছর দুই মাস ইউএনও ও পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পরে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের পাশাপাশি অতিরিক্ত হাটহাজারী পৌরসভার দায়িত্ব নেয়ার পর গত এক বছরে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদ প্রদানে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়লেন তিনি।
সোমবার (২৫নভেম্বর) পৌর প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে একমত বিনিময় কালে তিনি এ সব তথ্য দেন পৌর প্রশাসক।
সাংবাদিকদের বলেন, হাটহাজারীতে গত ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বের যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৩শত ৩৫ টি বিভিন্ন সনদ প্রদান করেছেন তার পৌরসভা।যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পাশাপাশি পৌরসভার অধীনে ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকারও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।যা অতীতের চেয়ে ৪ গুনেরও অধিক।জনসেবার কর্মকে আরো বিস্তৃত করতে সবার দোয়া, পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন রুহুল আমিন।
পৌর প্রশাসক জানান, প্রকল্পগুলি যথাক্রমে এডিপি খাতে ২ কোটি ২৭লাখ ৬৯হাজার ৯৭৭টাকা, রাজস্ব ব্যয়ে ৪কোটি ১০লাখ ৫৫হাজার ৪৯৩টাকা, আর্থ সামাজিক খাতে ২কোটি ১৯লাখ ৩হাজার ৮১৭টাকা, জালবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে ৫কোটি ৭৩লাখ ৫৭হাজার ৭৪৩ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়) এর প্যাকেজ তালিকায় ৩কোটি ৯০লাখ ৯১হাজার ৯৭৬ টাকা। তার মধ্যে কিছু কাজ চলমান।
পৌরসভার যে কোন বিষয়ে জানতে কিংবা কোন অভিযোগ সরাসরি উনাকে জানাতে পৌরসভাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসক রুহুল আমিন বলেন, আমার দরজা সবার জন্য উম্মুক্ত। রহিম করিমকে ফোন দেয়ার কোন দরকার নেই।
সনদ প্রদানে হয়রানীর অভিযোগে তিনি বলেন, হয়রানি নয় বরং সনদ বিশেষ করে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে আর তাও মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে। চিঠিতে স্পষ্টতার সাথে বলা হয়েছে যাতে রোহিঙ্গাদের অনূকুলে জন্ম নিবন্ধন বা নাগরিকত্ব সনদ প্রদান করা না হয়।