ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ‘বড়ুয়া ভবন’-এ বিস্ফোরণের পর পেরিয়ে গেছে ২৪ ঘণ্টা। ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবী থেকে নাই হয়েছেন নারী-শিশুসহ সাতজন; জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আরও ৯ জন। কিন্তু এখনও জানা যায়নি কোন ‘অপরাধে’ তাদের জীবনে এই বিভীষিকা।

দুর্ঘটনার পর গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) জেলা প্রশাসন, নগর পুলিশ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন তিনটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস, পিবিআই ও বিস্ফোরক অধিদফতর।

এসব সংস্থার মধ্যে একমাত্র কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (কেজিসিএল) ছাড়া আর কেউ তাদের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেনি। তবে ঘটনা সম্পর্কে নিজ নিজ মতামত দিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। দুর্ঘটনা নিয়ে তাদের সে মতামত ছিল পরস্পরবিরোধী। এতে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ‘ধূম্রজাল’ সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার বিস্ফোরণের পরই কেজিডিসিএলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চার সদস্যের প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দুপুরে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন; সন্ধ্যায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, পরিচালক (অপারেশন) এবং কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিল) তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘গ্যাসলাইনে কোনো লিকেজ পাওয়া যায়নি’ বলে রিপোর্ট দিয়েছে।

ctg-(3)

তদন্ত কমিটির প্রধান ও কেজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের তদন্তে গ্যাসের লাইনে কোনো লিকেজ পাইনি। গ্যাসের লাইন এবং রাইজার অক্ষত পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসার রান্নাঘরে চুলার সঙ্গে সংযোগ লাইনও অক্ষত পাওয়া গেছে। রান্নাঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হলে রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হতো। কিন্তু সেটা অক্ষত আছে। রান্নাঘরের পাশে আরেকটি কক্ষে বিস্ফোরণ হয়েছে, যার নিচে সেফটি ট্যাংক আছে। এতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, গ্যাসের লাইন থেকে বিস্ফোরণ হয়নি।’

তবে ঘটনার পরপরই নগর পুলিশ কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, ‘সকালের রান্না বসাতে গিয়ে গ্যাসলাইনের রাইজার বিস্ফোরিত হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।’