মোহাম্মদ হোসেন,চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সাব্বির উদ্দীন ইকন (১৭) নামে খুন ব্যাক্তি খুন হওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (হাটহাজারী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মাসুম। তিনি সাংবাদিকদের জানান,সে কিশোর ঋণগ্রস্থ বন্ধুর হাতে একটি স্মার্টফোনের জন্য খুন হতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাব্বির উদ্দিন ইকনের লাশ উদ্ধারের পর তার পিতা সাহাবুদ্দীন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন,মামলা নং২৩। ৬ জুলাই মামলা,আলামত ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত তনুয় বড়ুয়া তনা(২৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সে জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ইকনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। আটককৃত তনা জবানবন্দিতে বলেন,ইকনের সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সে ঋণগ্রস্থ থাকায় ইকনের স্মাটফোনটির উপর চোখ পড়ে। স্মার্টফোনটি নেওয়ার লোভে ঘটানারদিন ইকনকে সাথে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটবে বলে একটি ছুরি নেয় নাজিরহাট বাজার থেকে। সে ছুরি দিয়ে ইকনকে গলা কেটে হত্যা করে। তনয় বড়ুয়া ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মৃত বাবন বড়ুয়ার ছেলে। বর্তমান পালক পিতা হচ্ছে সুন্দরপুর দক্ষিন ছিলোনিয়ার অশোক কুমার বড়ুয়া। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি,একটি টেলিভিশন,একটি ওড়না উদ্ধার করে।

জানা যায়, ফটিকছড়ি বিবিরহাটস্থ চৌধুরী ভবনের বাসিন্দা মোঃ সাহাব উদ্দীনের ছেলে সাব্বির উদ্দীন ইকন(১৭) ২৫ শে জুলাই বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় বিবিরহাট ২নং আলী আকবর রোডস্থ হাজারী সাউন্ড হতে টেলিভিশন মেরামত করতে গেলে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর তার পরিবারের সদস্য তাকে বন্ধু-বান্ধব, আত্বীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। কোনো স্থানে তার কোন খোঁজ না পাওয়ায় তার পিতা সাহাব উদ্দীন ফটিকছড়ি থানায় পুলিশকে অবহিত করে একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর গত শুক্রবার দুপুর প্রায় ৪টার সময় উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের নতুন মসজিদ সংলগ্ন আকাশি বাগানে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেেকে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে জানান এ এস পি আব্দুল্লাহ আল মাসুম।