মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের শফিউজ্জামান খান হজ্জ করতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭ জুলাই বুধবার রাত ১১ টার ফ্লাইটে রওয়ানা দিয়ে সৌদি আরবের মদীনায় পৌঁছান ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে। সাথে ছিলেন শফিউজ্জামান খানের বড় ভাই ও ফুলছড়ি ইসলামিয়া আদর্শ মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাওলানা মনিরুজ্জামান খান। মদীনায় পৌঁছে তাঁরা দু’ভাই একটু বিশ্রাম নিয়ে ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে মদীনায় হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর রওজা মুবারক জেয়ারতের পর পর মোনাজাতরত অবস্থায় শফিউজ্জামান খান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অর্থাৎ বুধবার ১৭ জুলাই শফিউজ্জামান খান (৬৫) বড় ভাই সহ বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় বাংলাদেশ থেকে বিমানে রওয়ানা দেন, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টায় অর্থাৎ ১২ ঘন্টার মধ্যে নবীজী (স.) এর রওজা মুবারক জেয়ারতের পর মোনাজাতকালীন ইন্তেকাল করেন (ইন্নলিল্লাহি–রাজেউন)। বিষয়টি মরহুমের ভ্রাতুষ্পুত্র শিক্ষানবিশ আইনজীবী আবদুল্লাহ খান সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

মরহুম শফিউজ্জমান দুই ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে নুর হোছাইন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও ছোট ছেলে আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁহ’র সিনিয়র সাংবাদিক ও শিক্ষক।কন্যাদের বিভিন্ন সম্ভ্রান্ত পরিবারের বিবাহ দেন।তিনি খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোঃহোসেনের বড় সন্তান। বিগত চার বছর পূর্ব থেকে তিনি কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিসে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। বিগত আড়াই বছর পূর্বে আকস্মিক ভাবে তার সহধর্মিনী তৈয়বা বেগমও ইন্তেকাল করেন।মদীনায় জান্নাতুল বক্কীতে দাফন করা হবে বলে আবদুল্লাহ খান সিবিএন-কে জানিয়েছেন।