অনলাইন ডেস্ক :

ডিউটি ছিলো না সিএমপি কোতোয়ালীর কনস্টেবল মিল্টন বড়ুয়ার। তাই বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন তিনি। হঠাৎ একটু শোরগোল শুনে কাছে যেতেই দেখেন চারজন লোক একজন বৃদ্ধকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে। তন্মধ্যে একজন আবার ছবি তুলতে ব্যস্ত। মিল্টন কাছে যেতেই একজন নিজেকে সদরঘাট থানার দারোগা সাইফুল এবং অপরজন সাংবাদিক ইকবাল পরিচয় দেন। ওয়ারেন্ট আছে বলে তারা ব্যবসায়ী ফরিদকে সিএনজি থেকে নামিয়ে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করছিলেন। তাদের আচরণে মিল্টনের সন্দেহ হয়। তিনি এই চারজনের সাথে তাল মিলিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকেন এবং কৌশলে ফাঁড়ি ইনচার্জ মৃণালকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই ফোর্সসহ ছুটে যান এস আই মৃণাল। দারোগা (!) এবং সাংবাদিক কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। সাইফুল এবং ইকবাল দুইজনই ছিনতাইকারী। বাকি দুইজনও তাদের দোসর। ব্যবসায়ী ফরিদ ওই পথে ২০ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই টাকা ছিনতাই করতেই দারোগা আর সাংবাদিকের বেশ ধরে এই দুইজন। কিন্তু কনস্টেবল মিল্টন বড়ুয়ার বুদ্ধিমত্তায় কুপোকাত হয় দারোগা সাইফুল(!) ও সাংবাদিক ইকবাল (!)।
সুত্র: OC Kotwali,CMP,Chattogram.