আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:

আসন্ন ১৮ই মে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈশাখী পূর্নিমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাঙামাটির পুলিশ বিভাগ। জেলার প্রায় ৫শতাধিক বৌদ্ধ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শুভ বৌদ্ধ পূর্নিমা অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সাথে অন্তত দুই হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর-পিপিএম।

আর্ন্তজাতিক জঙ্গী গোষ্ঠি কর্তৃক হুমকি প্রদানকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা থেকে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে রক্ষায় পুলিশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষ্যে বুধবার বেলা এগারোটায় রাঙামাটির বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার জানান, পার্বত্য এলাকা শান্তিপ্রিয় সকল ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানের অন্যতম নির্দশন। এই জেলার সম্প্রীতিতে আঘাতের চেষ্ঠাকারি কোনো শক্তিকেই আমরা ছোট করে দেখবো না। এই ধরনের অপশক্তি তথা জঙ্গিগোষ্ঠির অপতৎপরতা ঠেকাতে আমরা রাঙামাটি জেলার সর্বত্র ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। একারনেই মন্দির কমিটিসহ ধর্মীয় গুরুদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ গ্রহণসহ তাদের প্রয়োজনানুসারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানোর লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সভায় পুলিশ সুপার বলেন আগামী ১৮ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে সতর্কতামূলক নজরদারির পাশাপাাশি পূর্ণশক্তি নিয়োগ করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলার সকল বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা ছাড়া পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যরা এবং মোবাইল টিমের মাধ্যমে পুরো জেলাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে। জেলার যে কোন স্থানে যে কোন সময় তল্লাশির চেক পোষ্ট বসানো হবে। তিনি বলেন, কাউকে সন্দেহের বাইরে রাখা হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যা যা করণীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাই করা হবে। সকল ধরনের মানুষকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে। এজন্য ধর্মীয় গুরুরা বাদ যাবে না। যাকে সন্দেহ হবে তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রমাণ পেলে শাস্তি অবধারিত। রাঙামাটির আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সবকিছু করতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই রাঙামাটির ৫শত বৌদ্ধ মন্দিরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ছুপি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটিতে কর্মরর্ত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধি, সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর প্রতিনিধিবর্গ সভায় অংশগ্রহণ করেন।