মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:
ইউএনও রুহুর আমিন এর শত চেষ্টার সফলতায় ফের হালদা নদীকে বড় ধরনের শঙ্কা থেকে বাচিঁয়েছে। অয়েল গুলো হালদা নদীতে প্রবেশ করতে পারলেই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা ছিল। ডিম ছাড়ার সময় প্রচুর মা-মাছ এখন নদীতে। ওয়াগন পড়ার খবর পেয়ে ইউএনও রুহুর আমিন দ্রুত ২৫ জনের একটি মাঠকর্মী নিয়ে প্রথমে খাল এর বিভিন্ন স্থানে বাধঁ বাধা শুরু করেন। ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১২টি বাঁধ দিয়ে ফার্নেল অয়েল গুলো নিচে যাওয়ার পথ আটকে দেন। এতে হালদা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কেটে গেল। ওয়াগন দুর্ঘটনার পর তেল গুলো যাতে হালদা নদীতে পড়তে না পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তবে বৃষ্টি না হলে পুরো পুরি ভাবে শঙ্কা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে সারাদিন তেল গুলো সংগ্রহ করতে ইউএনও মাঠ কর্মীদের নিয়ে খাল প্রায় ১৬ হাজার লিটার তেল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা দপ্তর থেকে জানা গেছে। সংগৃহীত তেল পম্মা অয়েল কোম্পানীর কাছে ৯ হাজার ৬০০ লিটার তেল প্রতি লিটার ২০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে হালদা নদী।

হাটহাজারী একশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা ফার্নেস অয়েলবাহী সাতটি রেলওয়ে ওয়াগনের তিনটি গতকাল (২৯ এপ্রিল) বিকালে পৌর সদরের মধ্যম দেওয়ান নগর এগার মাইল ব্রিজ ভেঙে হালদা নদীর শাখা খাল ‘মরা ছড়ার’ নিচে পড়ে যায়। এতে প্রায় কয়েক হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল খালে ছড়িয়ে পড়ে।

ইউএনও’র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরীয়া বলেন, জরুরী ভাবে যদি ইউএনও সাহেব এই উদ্যোগ না নিলে হয়তো হালদা নদীতে তেল গুলো ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ছিল। একটি বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেল হালদা নদী। তবে এখনো আমরা আশঙ্কামুক্ত হতে পারছি না কারন বৃষ্টি হলে পাহাড়ী ঢলে তেল নদীতে পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে বৃষ্টি না হলে বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।