আমাদের গ্রাম

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০৭:৫৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর

বাড়ি আমার নদী তীরে লম্বরীপাড়া গ্রামে
ছায়া ঢাকা পাখি ডাকা এক মনোহর ধামে।
মন মাতানো দৃশ্যে সবার জুড়িয়ে যায় প্রাণ
বাগ-বাগিচার পুষ্পরাজি ছড়ায় মধুর ঘ্রাণ।
মা- বাবা আর ভাই বোনেতে মধুর পরিবেশ
বন্ধু-বান্ধব পড়শী মিলে সময় কাটে বেশ।
বেশ ক’টি মসজিদ আছে মোদের গ্রামের বুকে
মিনার হতে আযান শুনে অনেক দূরের লোকে।
কুরআন বুকে শিশু-কিশোর মক্তবে যায় ভোরে
গ্রামখানি তাই মুখর থাকে তিলাওয়াতের সুরে।
এই গ্রামেরই বুকে এক নূরানী পাঠশালা
দেয় ছড়িয়ে হেরার আলো সকাল-সন্ধ্যাবেলা।
কোমলমতি সন্তানেরা সেই নূরানীর মাঝে
কুরআন-হাদীস শিখছে সবে সকাল,দুপুর, সাঝে।
গ্রামের একটি প্রাচীন স্কুল ছড়ায় জ্ঞানের আলো
শিক্ষালাভে শিশুরা তাই হয়ে উঠে ভালো।
এই গ্রামের চারিধারে আছে সবুজ মাঠ
বেচা-কেনার জন্য তবু নাই যে একটি হাট।
গ্রামেরই দক্ষিণ পাশে একটি বড় নদী
প্রমত্তা সেই বাঁকখালী বহে নিরবধি।
সেই নদীরই পানি পেয়ে ফসল বাড়ে তর তর
আবার একই নদীর আগ্রাসনে তলায় বসত ঘর।
সেই নদীতে বহু শিশু হারায় তাজা প্রাণ
হারিয়ে তাদের আমরা আজো শোকে মুহ্যমান।