তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম :

তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মের হাতে মোবাইল ফোন নয়, বই তুলে দিন। তাদের স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে ফেরাতে হবে। বই নতুন প্রজন্মকে জীবন-জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণে, দেশ গড়তে সহায়তা করবে।

রোববার (১০ ফেরুয়ারি) বিকেলে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রামের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বাঙালিরা মেধাবী। ইউরোপের বাইরে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কবিগুরু। গাছের যে প্রাণ আছে প্রথম যে আবিষ্কার করেন তিনি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। বাঙালিরা যুগে যুগে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। বাংলা সাহিত্য পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্য। অনেক বই অন্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত হয়েছে।

বইমেলা প্রসঙ্গে চসিক মেয়র আ জ ম নাছিরকে ধন্যবাদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, জায়গা নির্বাচনে চসিক চমৎকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকার ৫৫টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। অনুষ্ঠানমালা নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। দেশ আজ রুল মডেল।

আগামী ৩০ সালের মধ্যে বিশ্ববাসি বাংলাদেশকে নতুন রুপে দেখবে। গত ১০ বছরে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপ্লব ঘটে গেছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন দ্বিতীয়বার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তখন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ। এখন হয়েছে ৮ কোটির বেশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সমসংখ্যক মানুষ। দেশে কয়েক হাজার অনলাইন মিডিয়া আছে। স্থানীয় পত্রিকাসহ প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি পত্রিকা। ৩০টির বেশি টেলিভিশন অন এয়ারে আছে। ৪০টি লাইসেন্স পেয়েছে। আরও কয়েকটি অন এয়ারে আসবে। ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে বলে যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরো বলেন, বইমেলার আয়োজন মানুষকে বইমুখী করার জন্য। নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করার জন্য। যারা বই লেখেন তারা বেঁচে থাকেন। বই শুধু সুকোমল বৃত্তি প্রকাশ করার জন্য নয়, সমাজকে পরিশীলিত করার জন্য নয় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে বই অনবদ্য ভূমিকা রাখে। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্রীরা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে বইমেলা শুরু হবে। আশপাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে। অনেক বেশি স্টল দেওয়া যাবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় ১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১১০টি প্রকাশকের স্টল রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা।

এসময় চসিকের উর্দ্বতম কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সংগঠকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।