ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরে টমটম চালকদের কর্মবিরতির সুযোগে রিক্সা-সিএনজির রাজত্ব বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মমুখি মানুষগুলো কর্মস্থলে যেতে গিয়ে পড়ছে মহাবিড়ম্বনায়।
বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে এ অবস্থার প্রকট আকার ধারণ করেছে। শহরের অন্যতম অভ্যন্তরিন পরিবহন টমটম চলাচল না করার সুযোগ লুফে নিচ্ছে সিএনজি, মাহিন্দ্রা চালকেরা। নিয়মিত ভাড়ার দ্বিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত নিচ্ছে।
কক্সবাজার বাসটার্মিনাল থেকে আসা যাত্রী মো. আবদুল মতিন চৌধুরী দুঃখ করে বলেন, আমি সকালে চকরিয়া থেকে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে বাসটার্মিনালে পৌঁছি। প্রায় একঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন পরিবহন পাইনি। মাহিন্দ্রা-সিএনজিগুলো ২০টাকা থেকে ৩০ টাকা দাবী করছে। রিক্সা চালকেরা ৬০ টাকা দাবী করে। অন্যথায় যাত্রী নিচ্ছেনা।
তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে মাহিন্দ্রায় করে ২০ টাকায় শহরে ঢুকলাম। অনেক যাত্রী বাসটার্মিনালে অপেক্ষমান আছে। পরিবহন না পেয়ে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে যেতে পারছেনা।
তবে, গোলাম আজম খান নামের আরেক যাত্রী বলেছেন উল্টো কথা।
তিনি বলেন, আমি দুুপরে সমিতি পাড়া থেকে ১০ টাকা দিয়ে লালদীঘিপাড় পর্যন্ত এসেছি।
এদিকে, ট্রফিক পুলিশের হয়রানী বন্ধ, পৌরসভার টমটম শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৩ দফা দাবীতে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ করেছে টমটম চালক-শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে শহরের প্রধান বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক নেতা রুহুল কাদের মানিকের নেতৃত্বে বিক্ষোভে টমটম মালিক, চালক, শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শহরে টমটম চলাচল বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
কক্সবাজার শহর ‘টমটমের শহর’ হিসেবে অনেকে মনে করে। অতিরিক্ত টমটমের কারণে সদা যানজট লেগেই থাকে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে চিরচেনা টমটমের শহরে কোথাও টমমটমের দেখা মেলেনি। পুরো সড়ক ফাঁকা। কর্মমুখি মানুষ হেঁটে কর্মে চলছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। এই সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে সিএনজি ও রিক্সাওয়ালারা।
একটি সুত্রে জানা গেছে, ২ শিফটে টমটম চালানের বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১ দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছে টমটম মালিক, চালক ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দাবীর পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেবে টমটম মালিক ও চালকরা।