আলমগীর মানিক,রাঙ্গামাটি :

রাঙ্গামাটিতে প্রশাসন যখন সুষ্ঠ নির্বাচন করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে তা দেখে ঠিক তখনই অবৈধ অস্ত্রধারীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, ২০১৪ সাল আর ২০১৮ সাল এই দুটোর মাঝে ব্যাপক ব্যবধান। প্রশাসন নিরাপত্তা দিবে ভোটারদের আর ভোটারা এবার অবৈধ অস্ত্রধারী ও পার্বত্য চুক্তি বিরোধীদের ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবেন বলে তিি মন্তব্য করেন। শনিবার কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ উপজেলার বিভিন্ন পথসভা ও বিএনপি ও জেএসএস থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান সভায় দীপংকর তালুকদার এ সকল কথা বলেন।

এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার, রাঙ্গামাটি শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, রাঙ্গামাটি জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক মং উচিং মারমা (ময়না), রাঙ্গামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার উপ সম্পাদক মং সাইং উ মারমা (অর্জুণ), রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদিকা লেখিকা চাকমা সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি পার্বত্য মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে। পার্বত্য চুক্তি হওয়ার ফলে পাহাড়ের খুনাখুনী বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে যে খুনাখুনী হচ্ছে তা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্রধারীদের আধিপত্যের খুন। তিনি বলেন, পাহাড়কে শান্ত করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস এর সাথে চুক্তি করেছে। চুক্তির ফলে পাহাড়ের শান্তি আনতে চাইলেও জেএসএস এর অসযোগিতার কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য চুক্তির কোথাও লেখা ছিলো না পাহাড় থেকে বাঙ্গালীদের তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমাদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলো পাহাড়ে আবারো অশান্তি সৃষ্টির জন্য বাঙ্গালী তাড়াতে হবে এমন আওয়াজ তুলে। কিন্তু আমি দীপংকর তালুকদার বলেছি পাহাড় থেকে কাউকে বের করতে হল আগে আমাকে বের করতে হবে। আগে আমাকে বের করে তার পর যে কোন সম্প্রদায়কে পার্বত্য অঞ্চলে বের করতে হবে। তিনি বলেন, এই কথা বলাতে আজ আমি আঞ্চলিজ রাজনৈতিক দলের প্রধান সন্তু বাবু, ঊষাতন তালুকদারের কাছে শত্রু হয়ে গেছি। আমার কারণে তারা পাহাড় থেকে বাঙ্গালী তাড়াতে পারেনি।

দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ের উন্নয়ন দেখে আজ আওয়ামীলীগে যোগ দিচ্ছে বিএনপি সহ আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কারণ পাহাড়ের উন্নয়নে আওয়ামীলীগ আছে, অসম্প্রদায়িকতায় আওয়ামীলীগ আছে বলে দলে দলে আওয়ামীলীগে যোগদান করছে। তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পাহাড়ের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।

কাউখালী উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে বিএনপি থেকে প্রায় একশত নেতা-কর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। যোগদান কালে দীপংকর তালুকদার তাদের ফুলের তোরা দিয়ে বরণ করে নেন।