কাব্য সৌরভ হাসান শিবলু

আতুড়ঘরে বাতি নেই,বাতি কে জ্বালাবে তাঁর হদিসও নেই।কার হাতে প্রজ্বলিত হবে ধানের শীষে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়া।জন্ম থেকে শুনে আসছি,মহেশখালী কুতুবদিয়া বিএনপি’র আতুড়ঘর।কিন্তু আজ সেই আতুড়ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর লোকের ভীড় থাকলেও যোগ্য কোনো লোক’কে এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।যতোটুকু আশার করা যায়,মহেশখালী কুতুবদিয়ার ধানের শীষের প্রার্থী কে হবেন তা নির্ভর করছে স্থায়ী কমিটির মান্যবর সদস্য সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব সালাহ্ উদ্দীন আহমেদ এর নির্দেশনার উপর। তিনি তাঁর মেধা রাজনৈতিক দক্ষতার সু-বিবেচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে অনেকে আশাবাদী।তবে সে আশার ফলন কার মুখে হাসি ফুলঝুরি তুলছে সে প্রতিক্ষায় জনগণ। মহেশখালীতে রাষ্ট্রীয় সব বড় বড় প্রকল্প হওয়ায় বর্তমান সরকারের দৃষ্টি থাকবে এই আসনের দিকে।তাঁরাও সক্রিয় ভূমিকায় আছে বর্তমান এমপি’র রাজনৈতিক উন্মেসে।একটি জায়গা করে আতুড়ঘরে ফুটো করে সুবিধাজনক অবস্থানে নিজেদের দাঁড় করাতে সক্ষম ও মরিয়া বর্তমান সরকারের লোকজন। মামলা হামলা গোত্রীয় সংঘর্ষ প্রশাসনের একচেটিয়া সাপোর্ট পুলিশি ভয় একধরনের ভীতির কাজ করছে সাধারণ মানুষের কাছে। এই দুর্গম মুহুর্ত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের লোকজন নেতা কর্মী এবং সাধারণ জনগণ এমন একজনকে চাই,যার দ্বারা শান্তি ফিরে আসবে,এই জনপদের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে পারবে।যিনি তৃণমূল নেতা কর্মী এবং সাধারণ জনগণের আস্থার মূল্যায়ন করতে পারবেন।বটবৃক্ষের মতো সবাইকে রাজনৈতিক ছাঁয়া দিতে পারবেন।যার ভিতরে থাকবেনা গোত্রীয় কোনো প্রতিহিংসা,সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভল লবণ চিংড়ির পানের নির্ধারিত দামের জন্য যিনি লড়াই করবেন তেমন কাউকে চাই বিএনপি’র সাধারণ সমর্থকরা। তাহলে আমরা কি তেমন কোনো প্রার্থী পাচ্ছি,যিনি আমাদের বটবৃক্ষ হয়ে ছাঁয়া দিবেন। কৌতুহলের শেষ নেই।প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বেঁড়ে গেছে,তবে যারা দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে তারা সবাই এই জনপদের সাধারণ মানুষের চেনা মুখ,তাদের চরিত্র সবারই জানা। এই জনপদে সংসদীয় আসনে জয়ী হতে পারলে গোত্রীয় হানাহানি বেড়ে যায়,পিষে মরে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক আশায় নিষ্ফল হতে হয় আমাদের।সেদিক দিয়ে নতুনত্বের আকৃষ্টতা বেশি উপলদ্ধিত সাধারণ জনগণের কাছে।নতুন কেউ ধানের শীষে প্রদীপ নিয়ে আতুড় ঘরে আলো জ্বালাবেন।নাকি সেই বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর হামিদুর রহমান আজাদ জোট থেকে আবারো নমিনেশন নিয়ে চমক দেখাবেন।তবে সে চমকে সাধারণ জনগণ কি চমকিত নাকি সচকিত হয়ে হতাশ হবেন? গত জোট সরকারের পর থেকে মিটিং মিছিল আন্দোলন সংগ্রাম হরতাল প্রিকেটিং দলীয় কর্মসূচি পালন সহযোগী সংগঠনের দিবস থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মসূচি পালনে পিছ পাঁ হয়নি মহেশখালী বিএনপি।তার খেসারত ও দিতে হয়েছে চওড়া দামে, মামলা হামলায় অনেক গ্রেফতার হয়েছেন।অনেকে এখনো জেলে বন্ধি আছেন,আবার অনেকে একাদিক মামলা নিয়ে ফেরারি জীবন যাপন করছেন তার উপরে যদি বিএনপি’র প্রার্থী না হয়ে জামায়াত থেকে কোনো প্রার্থী জোটের হয়ে নির্বাচন করেন,সে কেত্রে বিএনপি নেতা কর্মীরা হতাশ হবেন কি? সুবিধা হাছিলের তালিকায় গাঁ ঢাকা দেওয়া জামায়াতের নেতা কর্মীরা যদি রাজনৈতিক সুবিধাভোগের দৌড়ে এগিয়ে থাকেন,তবে বিএনপি’র দূর্গ বিএনপি’র আতুড়ঘর হিসাবে খ্যাত মহেশখালী কুতুবদিয়ার বিএনপি’ কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।আশা করি সবার কল্যাণে কল্যাণকামী সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন মান্যবর সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ একজন ক্ষুদ্র কর্মী হয়ে সে আশাটুকু রাখি।

লেখক: কাব্য সৌরভ হাসান শিবলু, ছাত্র ও লেখক, মহেশখালী।